Russia-Ukraine War: একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক মন্দায় রাশিয়া, দাবি আমেরিকার
Russian Economy: ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত রাশিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে রাশিয়ায় আর্থিক সঙ্কট চরমে পৌঁছে গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার উপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ায় আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে বলে দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের (USA Tresury Department) এক আধিকারিকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকের বক্তব্য, রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি চরমে, রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট চরমে।
রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি চরমে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। বেশিরভাগ দেশই রুবলের মাধ্যমে বিনিময়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক কালোবাজারেও রুবলের দাম অনেকটাই কম। রাশিয়ার অর্থনীতিতে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
দাম কমেছে রুবলের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ৬৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তির অর্ধেকই অচল হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে সুইফট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে। ডলারের তুলনায় রুবলের দাম অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। গতকাল অবশ্য রুবলের দাম অনেকটা বেড়েছে। এখন ডলারের তুলনায় ৮৩-৮৪ শতাংশ কম দাম রুবলের।
রাশিয়ার আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ওই আধিকারিক অবশ্য রাশিয়ার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না। তাঁর দাবি, আগামী দিনে রাশিয়ার আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে প্রথমবার লকডাউন জারি হওয়ার পর রাশিয়ায় আর্থিক মন্দা ছিল ২.৭ শতাংশ। এবার মন্দা পৌঁছে যেতে পারে ১০ শতাংশে। মুদ্রাস্ফীতির হার আগামী দিনে বাড়বে। আর্থিক মন্দা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞার জেরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ ধনকুবেরদের বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে রাশিয়াকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।