Russia Ukraine War: ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পোপ ফ্রান্সিসের
Russia Ukraine War: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। রক্ত ও অশ্রুর নদী বইছে ইউক্রেনে, রবিবার বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
ভ্যাটিক্যান সিটি: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পোপ ফ্রান্সিস। রক্ত ও অশ্রুর নদী বইছে ইউক্রেনে, (rivers of blood and tears) রবিবার বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস (pope francis)। একই সঙ্গে সেদেশে শরণার্থীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
পোপের বক্তব্য, এটা শুধু একটা সামরিক যুদ্ধ নয়, এটা এমন একটা যুদ্ধ যেখানে মৃত্যু, ধ্বংস এবং দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সেট পির্টাস স্কোয়ারে ভাষণ দেওয়ার সময় এমনই বক্তব্য রাখেন তিনি। দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার আবেদনও করেছেন তিনি। বারবার শান্তির পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও, তাঁর বক্তব্যে কোথাও রাশিয়ার নাম ছিল না।
রবিবার এগারো দিনে পড়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। গোড়া থেকেই রাশিয়া দাবি করে এসেছে যে ইউক্রেনের জমি দখল করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং হামলার জন্য রাশিয়া (russia) তাদের নিরাপত্তা জনিত কারণকেই প্রথম থেকে সামনে রেখে এসেছে। ইউক্রেনের সামরিক শক্তি ধ্বংস করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে দাবি করেছে পুতিন প্রশাসন। তিনদিক থেকে ইউক্রেনে (ukraine) হামলা চালানোর পর থেকে দুই তরফেই বহু সম্পদ নষ্ট হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বহু নাগরিক শরণার্থী হয়েছেন। ইউক্রেন ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন পড়শি দেশগুলিতে। ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন বহু বিদেশি নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বহু ভারতীয় পড়ুয়াও। সব মিলিয়ে প্রবল ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে জনবহুল শহরে, ঘনবসতি এলাকায় বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা (cluster bomb) ছোড়ার অভিযোগও করেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। যদিও গোড়া থেকেই সেই অভিযোগ উড়িয়ে এসেছে রাশিয়া। পাল্টা পশ্চিমী দেশগুলির বিরদ্ধে ইউক্রেনে লাগাতার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করতেই আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ একাধিক দেশ সেখানে ভাড়াটে সৈন্য পাঠাচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসের কারণে বহু মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে তা বারবার তুলে ধরেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনও। সেই কথাই এদিন বলেছেন পোপ ফ্রান্সিস।