Sri Lanka Economic Crisis: আর্থিক সঙ্কট, বিদ্যুৎ ঘাটতি, দিনে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং, জ্বলছে না রাস্তার আলো, আঁধারে ডুবে শ্রীলঙ্কা
Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য। ফলে জ্বালানি আমদানি করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ বাঁচাতে দিনে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করে রাখা হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে।
![Sri Lanka Economic Crisis: আর্থিক সঙ্কট, বিদ্যুৎ ঘাটতি, দিনে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং, জ্বলছে না রাস্তার আলো, আঁধারে ডুবে শ্রীলঙ্কা Sri Lanka To Turn Off Street Lights In Deepening Economic Crisis Sri Lanka Economic Crisis: আর্থিক সঙ্কট, বিদ্যুৎ ঘাটতি, দিনে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং, জ্বলছে না রাস্তার আলো, আঁধারে ডুবে শ্রীলঙ্কা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/03/31/7cdcd8dccdbfb33cb241d4abf0ee374c_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলম্বো: বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। সরকারের হাতে বিদেশ থেকে জ্বালানি (Fuel) আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় বিদেশি মুদ্রা নেই। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বাঁচানোর লক্ষ্যে দিনে ১৩ ঘণ্টা রাস্তার আলো বন্ধ রাখার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা সরকার। দেশের প্রধান শেয়ার বাজারের (Stock Market) যাবতীয় কাজকর্মও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় জ্বলছে না রাস্তার আলো
এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী পবিত্র ওয়ান্নিয়ারাচ্চি (Power Minister Pavithra Wanniarachchi) জানিয়েছেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে রাস্তার আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’
শ্রীলঙ্কায় চরম সঙ্কট
শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরেই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী অমিল। সব জিনিসের দামই আকাশছোঁয়া। খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ১৮.৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৩০.২ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কার মানুষকে। এরই মধ্যে সমস্য়া বাড়িয়েছে বিদ্যুতের আকাল।
শ্রীলঙ্কায় আর্থিক দুরবস্থা
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটাই শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে খারাপ আর্থিক অবস্থা। শনিবার ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় ডিজেল পৌঁছনোর কথা। তবে তাতেও সমস্য়া পুরোপুরি মিটবে না বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘ভারত থেকে ডিজেল এসে পৌঁছলে আমরা লোডশেডিংয়ের সময় কমাতে পারব। কিন্তু যতদিন না বৃষ্টি নামছে, হয়তো মে মাস পর্যন্ত লোডশেডিং চলবে। এছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি চালু রাখার জন্য জলাধারে যে পরিমাণে জল মজুত করে রাখা হয়, তা একেবারেই কমে গিয়েছে। গরম পড়ার ফলে বিদ্যুতের পাশাপাশি জলের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা সমস্যায় পড়েছি।’
কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের (Colombo Stock Exchange) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এতদিন সাড়ে চার ঘণ্টা করে কাজ চালানো হলেও, বিদ্যুতের ঘাটতির জন্য এবার থেকে দিনে দু’ঘণ্টা করে কাজ হবে।
আজ শেয়ার বাজার খোলার পরেই আধঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। দু’দিনের মধ্যে তৃতীয়বার এই ঘটনা দেখা গেল। এর ফলে বেশিরভাগ সংস্থারই শেয়ারের দর পাঁচ শতাংশেরও বেশি কমে যায়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)