এক্সপ্লোর
Advertisement
টিক বাইট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিনে, কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?
মূলত টিক বাইটসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ালেও, মানবদেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি চিনের ভাইরোলজিস্টরা।
বেজিং: করোনা পর এবার টিক বাইট। চিনে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টিক বাইট (পোকার কামড় থেকে) ভাইরাস। এই ভাইরাসের জেরে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত কমপক্ষে ৬০জন।
ভাইরাসে আক্রান্তদের দু ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ধুম জ্বর, সঙ্গে থ্রমবকটোনিয়া সিনড্রোম থাকছে।এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন চিনের স্বাস্থ্য দফতর।
পূর্ব চিনের জিয়াংশু প্রদেশ ও আনহুই প্রদেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় চিনা সংবাদমাধ্যম। চলতি বছরের শুরুতে জিয়াংশু প্রদেশ থেকে এই ভাইরাসের খবর মিলছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমগুলি। পরে তা আনহুই প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমিত হন ২৩ জন।
চিনের ভাইরোলজিস্টরা মনে করছেন এশিয়ার হেমাফিসালিস লম্বিকোরনিস হল এর প্রাথমিক ভেক্টর বা ক্যারিয়ার। এর সংক্রমণ কাল মার্চ-নভেম্বর। ভাইরোলজিস্টদের মতে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছতে পারে এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে। ২০১১ সালের একটি সমীক্ষা বলেছে, আক্রান্তদের নানান ধরনের উপসর্গ হতে পারে। যেমন জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, বমি বা বমিবমি ভাব, অসহ্য যন্ত্রণা ইত্যাদি। সেরে উঠতে সাত থেকে ১৩ দিন লাগে।
যেহেতু পশুদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়, সেজন্য কৃষক, শিকারি ও পশুপালকদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গবাদি পশু ও ছাগল, ভেড়া, হরিণের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত টিক বাইটসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ালেও, মানবদেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেননি চিনের ভাইরোলজিস্টরা।
এবারই প্রথম এই ভাইরাস দেখা দিয়েছে তা নয়। একদশক আগে চিনের বেশ কিছু মানুষের রক্তের নমুনায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল। তখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু-হার ৩০ শতাংশ। চিনের ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এখন জানাচ্ছে ১৬থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যুহার। আশঙ্কার কথা হল, এক দশক আগে দেখা দেওয়া এই ভাইরাসের খুব কার্যকরী প্রতিষেধক এখনও নেই। ফলে করোনার মতো এক্ষেত্রেও সাবধান থাকা শ্রেয় বলে মনে করছেন চিনের স্বাস্থ্যকর্তারা। বাইরে বা মাঠেঘাটে, জঙ্গলে গেলে পা ঢাকা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে এই ভাইরাসের যে শুধু মৃত্যু-হার বেশি তা নয়, এর সংক্রমণও ঘটে দ্রুত। সে জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র প্রথম ১০ অসুখের তালিকায় রয়েছে এসএফটিএস।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement