Diamond Ring : ৫০ লাখের হিরের আঙটি হাতিয়েও হল না শেষরক্ষা, পুলিশ থেকে বাঁচতে কোমডে ফেলে ফ্লাশ !
Offbeat News : যে ঘটনার পরই পুলিশের পক্ষ থেকে কলের মিস্ত্রিকে ডাক দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের চেষ্টা চরিত্রের পরই অবশ্য সেই হিরের আঙটিটি উদ্ধার হয়।
হায়দরাবাদ : ৫০ লাখের হিরের আঙটি হাতিয়েও হল না শেষরক্ষা। পুলিশের হাতে পাছে ধরা পড়তে হয়, সেই ভয়ে মহার্ঘ্য হিরের আঙটি কোমডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয় অভিযুক্ত যুবতী। আগাগোড়া কিছু না জানার ভান চালিয়ে গেলেও পুলিশ তরুণীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনা হায়দরাবাদের। অভিজাত জুবলি হিলস এলাকার এক দাঁতের দোকানে যা ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটনাক্রম ? গত জুন মাসের শেষের দিকে জুবলি হিলসের এক দাঁতের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন জনৈক নরেন্দ্র আগারওয়ালের বৌমা। দাঁতের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝে হাতে থাকা হিরের আঙটিটি পাশের চেবিলে খুলে রেখেছিলেন তিনি। দাঁতের দোকান থেকে বাড়িতে ফেরার পর তাঁর খেয়াল পরে প্রায় ৫০ লাখের মহার্ঘ্য ওই হিরের আঙটিটি তিনি ওই দোকানে ফেলে এসেছেন। যার পরই দ্রুত সেই দোকানে ছুটে যান তিনি। যদিও সেখানে গিয়ে হিরের আঙটির কথা বললেও তার খোঁজ মেলেনি। যে ঘটনার পর এসে বাড়িতে সবটা জানান নরেন্দ্র আগারওয়ালের বৌমা।
যে ঘটনার পরপরই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় নরেন্দ্র আগারওয়ালের তরফে। জানানো হয় গোটা ঘটনা। যার পরই জুবিলি হিলসের ওই দাঁতের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। যেখানে দোকানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি দোকান ও এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজও শুরু করে পুলিশ। যার কিছুটা পরই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ।
অভিযুক্ত তরুণীর যখন ডাক পরে, তখন তিনি এসে অবলীলায় স্বীকার করে নেন হিরের আঙটিটি তিনি কোমডে ফ্লাশ করেছেন। তবে চুরি তিনি করেননি, বা কে তা করেছিল, সে সম্পর্কেও তিনি বলতে পারবেন না বলেই জানান। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চিহ্নিত হওয়ার পর ওই অভিযুক্ত তরুণা জানান, তিনি বাথরুমে গিয়ে দেখেন, তাঁর ব্যাগে কেউ কাগজের টিস্যু পেপার জড়িয়ে একটি হিরের আঙটি রেখে দিয়েছেন। যা দেখে ভয় পেয়েই তা তিনি কোমডে ফেলে দিয়ে ফ্লাশ করে দেন।
যে ঘটনার পরই পুলিশের পক্ষ থেকে কলের মিস্ত্রিকে ডাক দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের চেষ্টা চরিত্রের পরই অবশ্য সেই হিরের আঙটিটি উদ্ধার হয়। কিন্তু তাহলে হিরের আঙটিটি চুরি করল কে ? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত তরুণীই চুরি করেছিলেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ে হয়তো তা কোমডে ফেলে ফ্লাশ করে দেন। ও পরে নিজে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করতে ব্যাগে আঙটি এসে পড়ার গল্প ফাঁদেন।
আরও পড়ুন- রঙিন ঘরবাড়ি, দোকানপত্তর, চিনে সেতুর উপরই যেন ছোট্ট এক শহর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন