Lucknow: ভেসে আসে আওয়াজ, রাত হলেই যেন মৃত্যুপুরী! লখনউয়ের এই জায়গায় ভুলেও যায় না কেউ! কেন?
Lucknow Haunted Place: লখনউতে সুভাষ হস্টেল নিয়ে নানারকম ভয়ঙ্কর গল্প শোনা যায়। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হস্টেল নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে এক অদ্ভুত আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে।
নয়া দিল্লি: উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ। যাকে চলতি ভাষায় নবাবদের শহর বলা হয়। ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত লখনউ। লখনউতে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আর সে জায়গায় কেউ যেতে চায় না। এই এলাকাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও নানা গল্প রয়েছে।
লখনউতে সুভাষ হস্টেল নিয়ে নানারকম ভয়ঙ্কর গল্প শোনা যায়। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হস্টেল নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে এক অদ্ভুত আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে। জানা যায়, লখনউ হস্টেলের বয়স প্রায় ১২৫ বছর। শোনা যায়, গত কয়েকদিন ধরে এই হোস্টেল থেকে রাতে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও ইন্টারনেটেও ভাইরাল হয়।
এই আওয়াজেই আজ শিক্ষার্থীরা ভয় পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। রাত ১০টার পর কোনো ছাত্রছাত্রী তাদের কক্ষ থেকে বের হওয়ার কথাও ভাবতে পারে না। যদিও কলেজ প্রশাসন গোটা বিষয়টি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেনি। কলেজের কয়েকজন আধিকারিক বলেছেন, এসব বানানো গল্প। অনেকে বলেছেন, এসব কিছু দুষ্ট ছাত্রের কাজ হতে পারে। সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে শুধু এই হস্টেলই নয়। বলরামপুর হাসপাতালকে ঘিরেও একাধিক এমন গল্প রয়েছে। সূর্যাস্তের পর মানুষ এই হাসপাতালের কাছে যেতেও ভয় পায়, এমনই দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বলরামপুর হাসপাতাল একটি শ্মশানের জায়গায় তৈরি, তাই সেখানে ভূতের দেখা পাওয়া যায়। কায়সারবাগের বাসিন্দারা বলছেন, রাতে যদি কখনো এখান দিয়ে যেতে হয়, এই হাসপাতালের চারপাশে অদ্ভুত এক নেতিবাচক শক্তি অনুভব করেন। এমনকি অনেকে দাবি করেছেন যে তারা এখান থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনেছেন। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
আরেকটি ভূতের গল্প-
প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলেছিলেন। এরপর আর বিয়ে করতে দেরি করেননি। কিন্তু সমস্যা বাঁধল এবার। কারণ, মহিলার স্বামী মানুষ নন, অশরীরী। 'ভূত' স্বামীকে দেখেছিলেন হ্যালোইনে। এর পাঁচ মাস পর সেই 'ভূত' এডওয়ার্ডকেই বিয়ে করেছিলেন ৩৩ বছরের রকার ব্রোকার্ড। কিন্তু এখন স্বামীই তাঁর জীবন নরক করে তুলেছেন, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ডেইলি মেল-এ। রকার জানিয়েছেন এখন তাঁর স্বামী তাঁকে ক্রন্দনরত শিশুর আওয়াজ করে ভয় দেখাতে দেখাতে তাড়া করেন। যদিও পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন তিনি। কিন্ত রকার বলেছেন, 'মনে হচ্ছে ভূতের সঙ্গে বিয়ে করে ঠিক করি। কাজ করছে না এই বিয়েটা।'
এখন তো এমন পরিস্থিতি এই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারলে বেঁচে যান রকার, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার 'ভূত' স্বামী কি রাজি এই বিচ্ছেদে? রকারের কথায়, তাঁর স্বামী মোটেও এই বিষয়টিকে ভালভাবে নিচ্ছেন না। অসন্তোষের একাধিক লক্ষণও না কি তিনি দেখিয়েছেন রকারকে।