Asteroid to Pass Earth: পৃথিবীর কান ঘেঁষে গ্রহাণু! আয়তনে টেক্কা ১০টা ফুটবল মাঠকে
Space Facts: আমেরিকার নিউইয়র্কে যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার রয়েছে তার আয়তনেরও দ্বিগুণ ওই গ্রহাণু।
নয়াদিল্লি: পৃথিবী থেকে 'ঢিল ছোড়া দূরত্বে' বিশাল আয়তনের গ্রহাণু (Asteroid)। আয়তন জানলে চোখ কপালে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন ওই গ্রহাণুর আয়তন প্রায় ১০টা ফুটবল মাঠের মতো। কিংবা আমেরিকার নিউইয়র্কে যে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার রয়েছে তার আয়তনেরও দ্বিগুণ ওই গ্রহাণু।
নাম-পরিচয়:
এই গ্রহাণুর একটি খটমট নাম রয়েছে। asteroid (199145) 2005 YY128। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সবচেয়ে কাছাকাছি গ্রহাণুর যে অবস্থান হবে, সেটাও প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে গড় দূরত্ব, এটা তার থেকেও ১২ গুণ বেশি।
ধন্দ কোথায়?
গ্রহাণুটির একটি আপাত আয়তনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রহাণুটি আদতে কত বড় তা নিয়ে একটা ধন্দ রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। Earthsky.org-এর তরফে বলা হয়েছে গ্রহাণুটির ব্যাস ৫৮০ থেকে ১৩০০ মিটারের মধ্যে। গড় ব্যাস প্রায় সাড়ে ন'শো মিটার। আর এই হিসেবের উপর ভিত্তি করেই মনে করা হচ্ছে এই গ্রহাণুটির আয়তন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (World Trade Centre)-এর দ্বিগুণেরও বেশি।
সতর্কবার্তা নাসার:
নাসার (NASA) তরফে এই গ্রহাণুটিকে Near Earth Object (NEO) বলা হয়েছে। কেন? কারণ পৃথিবীর কক্ষপথের ৪৮ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে এসেছে ওই গ্রহাণুর কক্ষপথ। তারই সঙ্গে এই গ্রহাণুটিকে 'potentially hazardous object' বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ এটি ১৫০ মিটারেরও বেশি বড় এবং এই গ্রহাণুর কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথের সাড়ে সাত মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে নিয়ে এসেছে। যা মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় ০.৫ অ্য়াস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (Astronomical Unit)। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যের গড় দূরত্বকে ১ অ্য়াস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট হিসেবে ধরা হয়।
তবুও বিপদ নেই:
এতবড় গ্রহাণু হলেও বিপদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। NASA-কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বহু আগে থেকেই নজরে রাখে। অন্তত ১০০ বছরের গতিপথ অঙ্ক কষে বলেন মহাকাশবিজ্ঞানী। সেই অঙ্কই বলছে, ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আপাতত এই গ্রহাণুর দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আবার তার দেখা মিলতে পারে ২১৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে- পৃথিবী থেকে ১০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে।
asteroid (199145) 2005 YY128- এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০০৫ সালে। অ্য়ারিজোনার kitt Peak Observatory থেকে এটি আবিষ্কৃত হয়। নতুন কোনও গ্রহাণুর খোঁজ পেলেই তা জানাতে হয় International Astronomical Union's Minor Planet Center-এ। তাহলেই তাদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মহাকাশ সংস্থাগুলি এগুলির গতিপথ অনবরত নিরীক্ষণ করে চলে। পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কিনা সেটাও নজরে রাখে তারা।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার বছর আগে ছিল মানুষের বাস, নিলামে উঠল ‘ভালবাসার দ্বীপ’