অপারেশন থিয়েটারে রিল বানিয়ে শাস্তির মুখে ৩ নার্স
Three Nurses Fired For Making Reel: ছোট্ট রিলের জেরেই বদলে গেল তিনজন নার্সের জীবন। তাদের হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত করা হল।
কলকাতা: ৩০ সেকেন্ডের রিলই বলে দিচ্ছে সব। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই কতশত অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। এবার এই ৩০ সেকেন্ডের রিলই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের তিন নার্সের ভবিষ্য়তটাই পাল্টে দিল রিল। রায়পুর হাসপাতালের ওই তিন নার্স হাসপাতালের রোজের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধেই ইদানীং রিল বানানোর অভিযোগ ওঠে হাসপাতালের অন্দরে। জানা যায়, অপারেশন থিয়েটারে রিল বানাচ্ছিলেন ওই তিন জন। তার জেরেই বরখাস্ত করা হল তিনজনকে।
রিল বানাতে ব্যস্ত তিন নার্স
গত ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। দাউ কল্যাণ সিং পিজি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটার। সেখানেই কর্মরত ছিলেন তিনজন নার্স। তবে তারা রোগীদের কাজ করছিলেন না। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফোন নিয়ে রিল বানাতেই ব্যস্ত ছিলেন। পরে সেই রিল নাকি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করা হয়। প্রসঙ্গত, ওটি একটি সরকারি হাসপাতাল। যেখানে অপারেশন থিয়েটারের ভিতর এই ধরনের কাজ করা নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না নার্সদের।
বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাসপাতালের তরফে
সংবাদমাধ্যমকে হাসপাতালের অ্যাসিসট্যান্ট নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট হেমন্ত শর্মা বলেন, পুষ্পা সাহু, তৃপ্তি দশর, তেজ কুমারী নামের ওই তিন নার্সকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ছাঁটাই করা হয়। প্রসঙ্গত, হেমন্ত জানান, হাসপাতালের ভিতর রোগী পরিষেবা দেওয়ার সময় বা অন ডিউটি এই ধরনের কাজ করা নিষিদ্ধ। সেই নিয়মই ভেঙেছেন তিন নার্স।
গাফিলতি ছিল আরও
প্রসঙ্গত, হেমন্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওই তিন নার্স অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে জুতো পরে ঢোকেন। যার চূড়ান্ত বেনিয়মের নজির। এর থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তা জানা সত্ত্বেও তারা নিয়ম ভাঙেন। এর পরেও তাদের আরেক গাফিলতি করতে দেখা যায়। রিল বানাতে তাদের বারণ করেছিলেন সেখানে উপস্থিত একজন প্রবীণ স্টাফ। এর বদলে তিনজনেই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
কোন গানের রিল
রিল দুটি শ্যুট করার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয়। তবে কোন গানের রিল বানানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ফিরতা রহু ম্যায়দর বদর, গানে রিল বানানো হয়। অন্য রিলের গানটি ছিল হোয়াই দিস কোলাভেরি কোলাভেরি কোলাভেরি ডি…। গান দুটির আবেদন অন্যরকম হলেও গোটা বিষয়টিকেই ভাল চোখে দেখছেন না নেটিজেনদের অনেকে।