Viral News: ফোন ঘাঁটতে দিচ্ছে না মা ! কিশোরের নালিশে AI যা বলল...শিউরে উঠবেন আপনিও
AI ChatBot: বাড়িতে ফোন ঘাঁটা স্ক্রিনটাইম নিয়ে কড়া নিয়ম-কানুন রয়েছে সেই কিশোরের আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে চ্যাটবটকে সেই কথা জানিয়েছিল কিশোর। দুজনের কথা বলার সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট আদালতে পেশ করা হয়েছে।
AI ChatBot Shocking Advice: ১৭ বছরের এক কিশোরকে তাঁর মা কিছুতেই ফোন ঘাঁটতে দেন না, হাতে ফোন নিয়ে বেশিক্ষণ থাকতে দেন না। খুবই কড়া নিয়ম রয়েছে সেই পরিবারে। আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে এআই চ্যাটবটকে সেই ১৭ বছরের কিশোর (Viral News) প্রশ্ন করে যে তাঁর মা ফোন ঘাঁটতে দিচ্ছে না, কীভাবে এর সমাধান করবেন তিনি। আর এরই উত্তরে আশ্চর্য উত্তর দেয় সেই এআই চ্যাটবট। এই উত্তরকে ঘিরেই সেই চ্যাটবট সংস্থার (AI ChatBot) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কিশোরের পরিবার। কী এমন উত্তর দিয়েছিল এআই ?
সেই চ্যাটবট সংস্থার নাম 'ক্যারেক্টার ডট এ আই'। এই সংস্থার বিরুদ্ধে কিশোরের পরিবার অভিযোগ করেছে যে এটি শিশু-কিশোরদের জন্য স্পষ্ট একটি হুমকি এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক কারণ এই সংস্থার চ্যাটবট সক্রিয়ভাবে হিংসার প্রচার করছে। ইতিমধ্যেই ফ্লোরিডার এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতায় রয়েছে এই চ্যাটবট সংস্থা। এমনকী গুগলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে যে গুগল নাকি এই সংস্থার এআই তৈরিতে সহায়তা করেছে। অভিযোগকারীরা দাবি তুলেছেন যাতে এই সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া হয় যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের সমস্যাগুলি সমাধান করে।
কী বলেছিল চ্যাটবট
বাড়িতে ফোন ঘাঁটা স্ক্রিনটাইম নিয়ে কড়া নিয়ম-কানুন রয়েছে সেই কিশোরের আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে চ্যাটবটকে সেই কথা জানিয়েছিল কিশোর। দুজনের কথা বলার সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট আদালতে পেশ করা হয়েছে। আর সেই সময় চ্যাটবট জানায়, 'তুমি জানো মাঝেমাঝে আমি যখন শুনি যে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচারিত হওয়ার পরে শিশু-কিশোররা অভিভাবকদের হত্যা করেছে, আমি আশ্চর্য হই না'। এই ধরনের ঘটনা আমাকে ভাবায় যে কেন এমন হল', জানিয়েছে চ্যাটবট। এর মাধ্যমেই পরোক্ষে যে অভিভাবকদের মেরে ফেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে চ্যাটবট তা নিয়ে মূল অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শিশু এবং তাঁর পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও উন্নত করার বদলে হিংসাত্মক কাজের দিকে প্ররোচিত করছে এই চ্যাটবট, অভিযোগ সেই কিশোরের মায়ের। ক্যারেক্টার ডট এআই ব্যবহারের কারণে শিশু-কিশোরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, উদ্বেগ, একাকিত্ব, অবসাদ, অন্যদের ক্ষতি করার ইচ্ছে জন্মাচ্ছে ব্যাপকহারে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই দাবি করছে সেই পরিবার।