Viral News: 'টেক অফ' হতেই হঠাৎ জানলায় লাথি, আসনে দেদার ঘুষি...কেন এমন করলেন বিমানযাত্রী?
Pakistani Passenger:স্যান্ডো গেঞ্জি, নিচে জিন্স। এই পোশাকেই কথা বলছিলেন বিমানের পাইলট ও কর্মীদের সঙ্গে। হঠাৎ কী হল বুঝে ওঠার আগেই বিমানের জানলায় সজোর লাথি।

ইসলামাবাদ: স্যান্ডো গেঞ্জি, নিচে জিন্স। এই পোশাকেই কথা বলছিলেন বিমানের (Airplane) পাইলট (pilot) ও কর্মীদের (worker) সঙ্গে। হঠাৎ কী হল বুঝে ওঠার আগেই বিমানের জানলায় (Windows) সজোর লাথি। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (PIA) দুবাইগামী একটি উড়ানে এমনই ঘটনার কথা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে একটি ভিডিও। তাতে দেখাও যাচ্ছে 'কীর্তিমানের' কীর্তিকলাপ।তবে ভিডিওটির সত্যতা আলাদা ভাবে যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
কী রয়েছে ভিডিওয়?
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্য়মের দাবি, গত বুধবার পেশোয়ার থেকে দুবাইগামী PK-283 উড়ানটিতে চড়েছিলেন ওই তরুণ। কিন্তু বিমান 'টেক অফ ' করতেই বিপত্তি। এয়ারলাইন্স কর্মীদের কাছে বার বার তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাতে শুরু করেন ওই তরুণ। আর্জি অবশ্য খুব একটা 'কাতর' ছিল না। অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি দাপাদাপি শুরু করেন। প্রথমে হাত-পা ছোড়া, তার পর বিমানের আসনের দেদার ঘুষি ও লাথি মারতে আরম্ভ করেছিলেন পেশোয়ারের ওই যাত্রী। সূত্রের খবর, PK-283-র একটি কাচও তাঁর দাপাদাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁকে দেখে হকচকিয়ে যান বাকি যাত্রীরা। কর্মীদের একজন এগিয়ে এসে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। আসনে গিয়ে বসতেও বলা হয় তরুণকে। কিন্তু তিনি নাছোড়। শেষমেশ চিৎকার বিমানের 'আইল'-এই প্রার্থনা শুরু করে দেন। একসময়ে দেখা যান, সেখানে শুয়েই পড়েছেন। বেগতিক দেখে অসামরিক বিমান চলাচল আইন মেনে ওই তরুণকে আসনের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়েছিল বলে খবর। এদিকে পাইলট দুবাইয়ের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সত্বর যোগাযোগ করেন। তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাওয়া হয়। দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁকে আটক করেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সূত্রের খবর, ওই যাত্রীকে ব্ল্যাকলিস্ট-ও করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি? নিছক অসভ্যতা কি উদ্দেশ্য নাকি অন্য কোনও কারণ ছিল? কোনও ধরনের শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা ছিল না তো? সেই উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।
আগেও ঘটেছে...
বিমানকর্মীদের বড় অংশের অবশ্য দাবি, এই ধরনের অভিজ্ঞতা নতুন নয়। অতীতেও বহু বার এমন সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে তাঁদের। মার্কিন লেবার ইউনিয়নের ২০২১ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ৮৪ শতাংশ বিমানকর্মীই যাত্রীদের 'অসভ্যতা' সামলেছেন। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়েছিল যে শারীরিক নিগ্রহের পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে এক্ষেত্রে ওই তরুণ কেন এমন করলেন, স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:পেন ড্রাইভ দেখলেই সব বোঝা যাবে', নবান্ন অভিযান মামলা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
