World's Coldest City: মাইনাস ৫০ ডিগ্রি! পোশাক পরার কায়দাতেই এখানে ঠেকানো হয় ঠান্ডার কামড়
Viral News: হাড়কাঁপানো শীত। জলও জমে বরফ। এই শহরেই বাস বহু মানুষের।
নয়াদিল্লি: কনকনে ঠান্ডা। চারিদিক বরফে সাদা। ঘরের বাইরে বেরলো মুহূর্তে বরফ। জল এখানে তরল অবস্থায় থাকে না। নাহ! কোনও ভিনগ্রহের জায়গা নয়। পৃথিবীর মাটিতেই রয়েছে এমন একটি জায়গা। যদিও ভারতে নয়। পৃথিবীর (World) উত্তর গোলার্ধের একেবারে উত্তর দিকে। রাশিয়ার (Russia) ওই জায়গায় নাম ইয়াকুৎস্ক (Yakutsk)। মস্কো থেকে প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার দূরে সাইবেরিয়া (Siberia) অঞ্চলের একটি শহর। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বে সবচেয়ে শীতল জায়গা নাকি এটিই।
জানুয়ারি চলতি সপ্তাহেই এই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রয়টার্স জানাচ্ছে, অধিকাংশ সময়েই এখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রির আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। বাজারে ফ্রোজেন মাংস-মাছ বিক্রি হয়, তবে তার জন্য ফ্রিজারের দরকার হয় না।
এত ঠান্ডা জায়গাও কিন্তু জনমানবহীন নয়। সংখ্যায় খুব কম থাকলেও এখানে মানুষ বসবাস করে। সেটা এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা সয়েই। অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ বাসিন্দা রয়েছেন এখানে। আলরোসা (Alrosa) নামের একটি সংস্থা ইয়াকুৎস্ক-এ একটি হিরের খনি চালায়। সেখানেই এই শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা কাজ করেন।
কেন এত ঠান্ডা:
সাইবেরিয়ার শাখা (Sakha Province)-এর আঞ্চলিক সদর শহর ইয়াকুৎস্ক রাশিয়ার পূর্বদিকের পার্মাফ্রস্টের (Permafrost)-এর উপর তৈরি। পার্মাফ্রস্ট আদতে বরফের স্তর। মাটি, নুড়ি, বালির বরফের মাধ্যমে জমাট বাঁধা অবস্থা। ভূমি ও ভূমির স্তরের নীচে থাকে এটি। বছরের সব সময়ে একইভাবে থাকে।
তবে এমন নয় যে এই শহরে গ্রীষ্মকালীন ঋতু নেই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই শহরেই তাপমাত্রার হেরফেরের মাত্রাও অনেকটাই বেশি। বিবিসির একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছোঁয় পারদ। পার্মাফ্রস্ট থাকায় মাটির একেবারে উপরের স্তরে বরফ সরে, মাটি গরম হতে অনেক দেরি হয়। ফলে গরমও এখানে অল্পদিনের। এই সময়টা এখানে পর্যটনের সময়।
পরতে পরতে উষ্ণতা:
এত ঠান্ডায় বাঁচে কীভাবে? আমাদের মতো গ্রীষ্মকালীন দেশের মানুষের মনে সবার আগে এই প্রশ্নটাই আসবে। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পোশাক পরার কায়দাতেই লুকিয়ে ঠান্ডা জব্দ করার উপায়। উদাহরণ টেনেছেন বাঁধাকপির সঙ্গে। স্তরে স্তরে একাধিক পোশাক পরে ঠান্ডা রোখেন এখানকার বাসিন্দারা। বাকিটা পুরোটাই অভ্যাস।
আরও পড়ুন: এই এমপিভি বড় বাজি হতে পারে এমজির, কী বৈশিষ্ট্য আছে গাড়িতে ?