Cyclone Freddy: মনুষ্যঘটিত বিপর্যয়! আফ্রিকায় একমাস ধরে তাণ্ডব ‘ফ্রেডি’র, লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, নিহত ৫০০

Climate Change: মনুষ্যঘটিত বিপর্যয়েই এমন অবস্থা, দাবি বিজ্ঞানীদের। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মাস ধরে যুঝছে আফ্রিকার তিন দেশ।

ছবি: ইউনিসেফ।

গ্রীষ্মের আগে বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলা। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে পা রাখতেই চাইছে না মন। পৃথিবীর অন্য প্রান্তে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কার্যত ছিন্নভিন্ন আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে মালাওয়ি, মোজাম্বিক এবং মাদাগাস্কার। দীর্ঘমেয়াদী ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডি’ সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সেখানে।

এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মালাওয়ি। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে শনিবার পর্যন্ত ৪৩৮ জনের প্রাণ গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশে ১৪ দিন ব্যাপী শোকপালনের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকওয়েরা।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। শুধুমাত্র মালাওয়িতেই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষ। লাগাতার ভারী বৃষ্টি, বন্যা এবং ধসে দুঃসহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।

মোজাম্বিকে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সেখানে ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন প্রায় ৫০ হাজা মানুষ। তবে মালাওয়ি এবং মোজাম্বিক, দুই দেশেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।

অন্য দিকে, দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কারে কমপক্ষে ১৭ হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বুধবার দ্বিতীয় বারের জন্য আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডি’। মোজাম্বিক এবং মালাওয়িতে তীব্রতা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে চারিদিক। মালাওয়ির অর্থনৈতিক রাজধানী ব্লান্টায়ারকে চেনার উপায় নেই।

তবে গত সপ্তাহ থেকে এই তাণ্ডব চলছে না মোটেই। প্রথম বার গত ২১ ফেব্রুয়ারি মাদাগাস্কারে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফ্রেডি’। তার পর ধীরে ধীরে মোজাম্বিকের দিকে সরে যায়। পরে মালাওয়িতে।

এই পরিস্থিতিতে মালাওয়ি এবং মোজাম্বিক, দুই দেশের অবস্থাই তথৈবচ। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে থেকেই কলেরা মহামারিতে যুঝছিল দুই দেশ। বন্যা পরিস্থিতিতে তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, মনুষ্যঘটিত জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই ইদানীং কালে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতিবৃষ্টি স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বলে দাবি তাঁদের। এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রকোপ চলবে বলে আশঙ্কা।