উত্তরাখণ্ডের প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নামও জানেন না

দেশে ‘অচ্ছে দিন’-এল কি না, সেটা নিয়ে কুটি গ্রামের লোক মাথা ঘামান না। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নামই জানেন না। জানার কোনও প্রয়োজন মনে করেন না। কারণ, সরকারে যে দলই থাকুক না কেন, তাঁদের অবস্থার বদল হয় না। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

কুটি গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও করার ব্যবস্থা নেই। ফলে কেউ অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে হেঁটে বহু দূরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ফুট উপরে উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট গ্রাম ‘কুটি’। পাহাড়ের কোলে নদীর ধারে সুন্দর এই গ্রামের নাম বাইরের খুব বেশি মানুষ জানেন না। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই গ্রামে মাত্র ১১৫ পরিবারের বাস। মোট জনসংখ্যা ৩৬৩। এর মধ্যে ১৯৮ জন পুরুষ এবং ১৬৫ জন মহিলা। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

এই প্রত্যন্ত গ্রামে ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’-র কোনও সুযোগ-সুবিধা এখনও এসে পৌঁছয়নি। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, টিভি, রেডিও নেই। গ্রামটিতে খবরের কাগজও যায় না। এমনকী, কাছাকাছি কোথাও হাসপাতালও নেই। গ্রামবাসীরা বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য সৌরশক্তির উপর নির্ভর করেন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

এই বাড়িগুলি মাটি ও পাথরের মিশ্রণে তৈরি। বিভিন্ন রংয়ের দরজা-জানলা বাড়িগুলির প্রধান আকর্ষণ। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

কৈলাস পর্বত যাওয়ার পথে পড়ে এই গ্রাম। পর্যটকরা এখানে বিশ্রাম করেন, থাকেন। পর্যটনই গ্রামবাসীদের রোজগারের প্রধান রোজগারের মাধ্যম। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

গ্রামের মধ্যে বা কাছাকাছি কোথাও বাজার নেই। তাই কুটি গ্রামের লোকেরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় সব্জির চাষ করেন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে বহু পর্যটক এই গ্রামে আসেন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

রান্না করা বা আগুন জ্বালানোর জন্য এই গ্রামের মানুষকে জঙ্গলের কাঠের উপর নির্ভর করতে হয়। এছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। বর্ষাকালে আগুন জ্বালানোর খুব সমস্যা হয়। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

গ্রামের মাঝে ছোট্ট একটা মাঠ আছে। সেখানে টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলেন গ্রামবাসীরা। এটাই তাঁদের একমাত্র বিনোদন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

পৌরানিক কাহিনী অনুসারে, পাণ্ডবদের বনবাসের সময় রাজা কুন্তীভোজের কন্যা কুন্তী এই গ্রামে ছিলেন। সেই থেকেই গ্রামের নাম কুটি রাখা হয়েছে। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

এই গ্রামে অন্তত ১০০টি এমন বাড়ি আছে, যেগুলি ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

তবে সম্প্রতি এই গ্রামের জনসংখ্যা আরও কমে গিয়েছে। গ্রামেরই একটি হোটেলের মালিক জানিয়েছেন, এখন ১০০ জনের মতো লোক আছেন। বাকিরা সবাই অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার

এখানে সশস্ত্র সীমা বল এবং ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের শিবির আছে। সেনা জওয়ানরা গ্রামবাসীদের যথাসাধ্য সাহায্য করেন। ছবি সৌজন্যে অভিষেক কুমার