এরপর ভেলসি পুরো ঘটনাকে ডাকাতি ও ডাকাতির জন্য খুনের ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এই চক্রান্ত সফল হয়নি। পুলিশ ভেলসি ও সুকেতু সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।
2/12
দিশিত ঘুমিয়ে পড়লে ভেলসি তাদের ডাকে। সুকেতু ও চার গাড়ির চালক বাড়িতে ঢুকে যখন দিশিতকে হত্যা করছিল, ভেলসি নিজের চোখেই সেই ঘটনা দেখে।
3/12
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দিশিত গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে ফিরছেন। এর ঠিক পরেই একই রাস্তা দিয়ে আসছে একটি অটো। অটোতে যাত্রী দুইজন।তারা হল সুকেতু ও তার গাড়ির চালক। পরে অটো থেকে নেমে ওই দুজন দিশিতের বাড়ির দিকে আসে। তাদের হাতে ছিল ব্যাগ। সেই ব্যাগেই ছিল অস্ত্রশস্ত্র।
4/12
দিশিতের মা-বাবা ছুটি কাটাতে বিদেশী গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে সুকেতু তার গাড়ির চালককেও ষড়যন্ত্রে সামিল করে নেয়।
5/12
ভেলসি ও সুকেতুর আবার দেখা হয়। এই অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এ জন্য পথের কাঁটা দিশিতকে সরাতে হত। সেই মতো ছকও কষে তারা।
6/12
কিন্তু এরপরও তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসত।
7/12
তার পরিবার দিশিতের সঙ্গে বিয়ে দেয় ভেলসির। সুকেতুও অন্য একজনকে বিয়ে করে।
8/12
ভেলসি জানায়, সুকেতু নামে একজনের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই তার সম্পর্ক ছিল।
9/12
কিন্তু ভেলসির বয়ান বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি পুলিশের। তাঁকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। আর এই জেরাতেই ভেঙে পড়ে ভেলসি। কবুল করে ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা ও অবৈধ সম্পর্কে কথা।
10/12
ভেলসি বলে, দুষ্কৃতীরা ছুরির আঘাতে দিশিতকে হত্যা করে।
11/12
ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভেলসির বয়ান নেয়। ভেলসি জানায়, রাত পৌনে দশটা নাগাদ বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে। তার স্বামী দরজা খুলতেই হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। তার ভেলসির গলার হার ও আংটি ছিনিয়ে নেয় এবং তাঁদের শিশুসন্তানকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
12/12
২৭ জুন। সুরাটের অভিজাত পার্লে পয়েন্ট এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হলেন ধনী ব্যবসায়ী দিশিত জরিওয়ালা। স্বামীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর স্ত্রী ভেলসি।