Durga Puja : ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ, বোধন, অধিবাস, কোন আচারের কী গুরুত্ব
ষষ্ঠীর দিন পুজোর তিনটি বিধি গুরুত্বপূর্ণ। কল্পারম্ভ, বোধন, অধিবাস এবং আমন্ত্রণ।
কলকাতা : আগামীকাল ষষ্ঠী। মা দুর্গাকে মর্ত্যলোকে আবাহনের দিন। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মনে আজ থেকেই ষষ্ঠী তিথি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই ষষ্ঠীর আচার অনুষ্ঠান শুরু হবে আজই। কী কী হয় ষষ্ঠীতে। কী কী আচার অনুষ্ঠান। বিস্তারিত জানানো হয়েছে বেলুড় মঠের ওয়েবসাইটে। ষষ্ঠীর দিন পুজোর তিনটি বিধি গুরুত্বপূর্ণ। কল্পারম্ভ, বোধন, অধিবাস এবং আমন্ত্রণ।
কল্পারম্ভ সাধারণত হয় ষষ্ঠীর ভোরে। সূর্য উদয়ের পর পালন করা হয় এই আচার। খুব ভোরে করা হয়। মায়ের পুজো সঠিকভাবে পরিচালনা করার দৃঢ় সংকল্প নেওয়া হয় কল্পারম্ভে। দুর্গা মণ্ডপের এক জলভর্তি তামার পাত্র স্থাপন করা হয়। এরপর দুর্গা ও চণ্ডীর পুজো করা হয়।
দেবীর বোধন হল মৃন্ময়ী মূর্তিতে চিন্ময়ীকে আবাহনের আচার। গোধূলি বা সন্ধের সময় হয় বোধনের পুজো। বেলুড় মঠের দেওয়া তথ্য অনুসারে বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জাগরণ। এই সময়ে সূর্যের দক্ষিণায়ন চলে। দেবতারা এই সময় বিশ্রামে যান বলে মনে করা হয়। এই সময় তাই দেবীকে জাগরিত করতে এই বিধি মানা হয়। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাওয়ার আগে, দুর্গাকে জাগ্রত করতে বোধন করেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। তাই তাকে বলা হয় অকালবোধন। বোধনের সময় বেল গাছের গোড়ায় একটি জল ভর্তি তামার পাত্র স্থাপন করা হয় অথবা বেল গাছের একটি ডাল পাত্রে রাখা হয়। তারপর মাকে জাগানোর জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এরপর অধিবাস হয়। মাকে বোধন করে জাগানো তো হল, এবার মাকে আবাহন করার পালা। এই আচারগুলি বোধনের পর হয়। দেবী দুর্গা ও বেল গাছকে প্রথমে পুজো করা হয়। তারপর ২৬ টি মাঙ্গলিক দ্রব্য দেবী মূর্তিতে স্পর্শ করানো হয়। যেখানে পুজো করা হয় সেই বেদীর চারপাশে একটি লাল রঙের সুতো বাঁধা হয়,যে কোনও অশুভ প্রভাব দূরে রাখার জন্য
এরপর আমন্ত্রণ। এই আচারের মাধ্যমে দেবীকে পরের দিন সপ্তমী পুজো গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় বা অনুরোধ করা হয় মা যেন পুজোগ্রহণ করেন। এরপর পাঁচটি জিনিস দিয়ে দেবীর পুজো করা হয় এবং আরতি করা হয়।
বেলুড় মঠে ৮ অক্টোবর , মঙ্গলবার বোধন হবে সন্ধে সাড়ে ৬ টায়। বুধবার ৯ অক্টোবর কল্পারম্ভ হবে সকাল সাড়ে ৬ টায়। এ
আমন্ত্রণ এবং অধিবাস হবে সন্ধে সাড়ে ৬ টায়।
আরও পড়ুন : আজই বোধন বেলুড় মঠে, জেনে নিন কুমারী পুজো থেকে সন্ধি পুজোর দিনক্ষণ