(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Ma Sarada Birth Anniversary : গান-মন্ত্র-পাঠে জয়রামবাটিতে মা সারদার জন্মদিন পালন, বেরলো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও
Ma Sarada Birth Place : শ্রী শ্রী সারদা মায়ের জন্মতিথিতে তাঁর জন্মভিটে বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতেও আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পুজোর। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে।
তুহিন অধিকারী, সঞ্চয়ন মিত্র, বাঁকুড়া ও হাওড়া : বুধবার শ্রী শ্রী সারদা 9 Sarada Ma ) মায়ের ১৭১ তম জন্মতিথি। পৌষের কৃষ্ণাসপ্তমী তিথিতেই জয়রামবাটিতে শ্যামাসুন্দরী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রী শ্রী সারদাদেবী। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেব তাঁর সারা জীবনের সাধনার ফল অর্পণ করেছিলেন সারদাদেবীকে। আর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে দিয়েছিলেন সঙ্ঘ জননীর স্থান।
মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে বাগবাজারে মায়ের বাড়ি থেকে বেলুড় মঠ, বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলারতি, স্তব গান, বেদ পাঠ, ভজন, বিশেষ পুজো, হোম, দিনভর রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। শ্রী শ্রী সারদা মায়ের জন্মতিথিতে তাঁর জন্মভিটে বাঁকুড়ার জয়রামবাটিতেও আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পুজোর। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে।
এদিন ভোর থেকে বিভিন্ন উপাচারের মধ্যে দিয়ে জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে শুরু হয় মা সারদার জন্মতিথি উদযাপন। বুধবার ভোরে মাতৃমন্দিরে মঙ্গলারতির মধ্যে দিয়ে জন্মতিথি উৎসবের সূচনা করেন ভক্ত সন্যাসীরা। এরপর বেদমন্ত্র পাঠ, স্তবগান ও মা এর বিশেষ পুজো হয়। সকালে মায়ের ভক্তদের সঙ্গে নিয়ে জয়রামবাটি মাতৃমন্দির থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা জয়রামবাটি গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। এছাড়াও দিনভর ভক্তিগীতি, সানাই পরিবেশন , মাতৃ সঙ্গীত ও বিশেষ পুজা পাঠের আয়োজন রয়েছে মাতৃমন্দিরে। বিশেষ এই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন মা সারদার পবিত্র জন্মভূমি জয়রামবাটিতে।
বুধবার বেলুড়েও সাড়ম্বরে পালিত হল মায়ের জন্মতিথি। বেলুড়ে দিন শুরু হয় মঙ্গল আরতি দিয়ে। ভোর পৌনে পাঁচটায় মায়ের আরতির পর বেদ পাঠ ও স্তবগান হয়। ভোর সাড়ে ৫ টায় ভজনের অনুষ্ঠান হয়। তারপর সকাল ৭ টায় শুরু হয় বিশেষ পুজো। হোমের সময় বেলা ১২ টা। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো অবধি চলবে মায়ের ভোগ বিতরণ। এছাড়া সারাদিনই রয়েছে বিভিন্ন ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান। মায়ের টানে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে শয়ে শয়ে ভক্ত।
মা আজও যেন সব সন্তানদের জন্য পেতে রেখেছেন তাঁর স্নেহের আঁচল। ঠিক যেমনটি করে মা একাধারে ধরে রেখেছিলেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবাদর্শের রথের রশি, অন্যদিকে সারথি হয়েছিলেন নারীমুক্তি আন্দোলনের । সন্ন্যাসী ভক্ত হোক বা গৃহী, পুরুষ হোক কিংবা মহিলা - তাঁর মাতৃত্ব হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। একটি কথায় তিনি বেঁধে রেখেছেন সব সন্তানকে - “জানবে কেউ না থাক, তোমার একজন মা আছেন। আমি মা থাকতে ভয় কি?”