Mangal Chandi Brata : 'সঙ্কট যতই কঠিন হোক, উদ্ধার করবেন মা মঙ্গলচণ্ডী', কাল জয়মঙ্গলবার ব্রত, কী নিয়ম?
Joy Mangalbar Brata : প্রচলিত নিয়ম বলে, এই ব্রতয় দেবীকে উৎসর্গ করতে লাগে পাঁচটি ফল । এছাড়া একটি খিলি বানিয়ে সকাল বেলা খেতে হয়।

জৈষ্ঠ্য মাসে চারটে অথবা পাঁচটা মঙ্গলবার পড়ে। কেউ প্রতি মঙ্গলবারই ব্রত পালন করে। কেউ আবার প্রথম ও শেষ মঙ্গলবার ব্রত রাখেন। আগামী কাল, ২০ মে এবার বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে জ্যৈষ্ঠের প্রথম মঙ্গলবার। তাই এদিন থেকেই শুরু হবে ব্রত পালন।
কী রীতিতে পুজো
প্রচলিত নিয়ম বলে, এই ব্রতয় দেবীকে উৎসর্গ করতে লাগে পাঁচটি ফল । এছাড়া একটি খিলি বানিয়ে সকাল বেলা খেতে হয়। এই খিলিতে থাকে,দূর্বা ঘাস, ধান, যব, মুগ কলাই । এগুলিকে কাঁঠাল খিলি বানিয়ে মা চণ্ডীকে নিবেদন করতে হয়। তারপর পরে কলার মধ্যে সেই ধান যব গিলে খেতে হয়। দাঁতে কাটতে নেই। গিলতে কলার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এই দিন আমলা বাটা এবং হলুদ দিয়ে মা চণ্ডীকে স্নান করানোর রীতি আছে।
মঙ্গলচণ্ডীর ছোট-কথা
এই পুজোয় জয়দেব জয়াবতীর ব্রতকথা পাঠের রীতি আছে। তবে ছোট একটি ব্রত কথা আছে। সেটিও পাঠ করা যেতে পারে। সেটি হল, সোনার মঙ্গলচন্ডী রুপোর বালা/ কেন মা মঙ্গলচন্ডী এতো বেলা , হাসতে খেলতে,তেল হলুদ মাখত / শাঁখা শাড়ি পরতে,আঘাটার ঘাট দিতে, অপথে পথ করতে,অরাজ্যকে রাজ্য দিতে/ আইবুড়োর বিয়ে দিতে,নিধনের ধন দিতে হা-পুতির পুত দিতে ,অন্ধের চক্ষু দিতে/ তাই এতো বেলা ॥
জয়দেব , জয়াবতীর গল্প
মনে করা হয়, মা মঙ্গলচণ্ডী সব বিপদ আপদ কাটিয়ে দেন। জয়দেব জয়াবতীর গল্প থেকেই জানা যায়, এই ব্রত করলে হারালে পায়। স্বামী-পুত্র জলে ডোবে না, আগুনে পোড়ে না, মরলে বাঁচে। সত্যিই মঙ্গলচণ্ডীর ব্রতয় কত জোর, তা পরীক্ষা করতে বিয়ে হওয়া ইস্তক স্ত্রী জয়াবতীর পরীক্ষা নিতে থাকে জয়দেব। কখনও গয়না চুরি করে, কখনও ইয়াব্বড় মাছ কাটতে দিয়ে...সব সঙ্কটেই মঙ্গলচণ্ডী জয়াবতীকে উদ্ধার করেন। নানারকম কঠিন পরীক্ষার পর জয়দেবও মেনে নেন মঙ্গলচণ্ডীর মহিমা।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।






















