Lakshmi Naryan Puja : বৈশাখেই মিলবে লক্ষ্মী-নারায়ণের আশীর্বাদ, অর্থকষ্ট যাবে দূরে, এক মন্ত্রেই সঙ্কটমোচন
Baisakh Astrology : এই বৈশাখেই লক্ষ্মী-নারায়ণের আশিসে ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। কী কী করলে তুষ্ট হবেন ভগবান ?
কলকাতা : মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য বৈশাখ মাসটির বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে মনে করা হয়। এই মাসে কিছু রীতি পালনে তুষ্ট হন লক্ষ্মী - নারায়ণ, বিশ্বাস এমনটাই। লক্ষ্মী-নারায়ণের আশিসে ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। কী কী করলে তুষ্ট হবেন ভগবান ?
বৈশাখ মাস কবে থেকে কবে পর্যন্ত?
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাস শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল, চলবে ১৪ মে পর্যন্ত। এটিই বাংলা ক্যালেন্ডারে প্রথম মাস। শিব ঠাকুরের উপাসনার ক্ষেত্রেও বিশেষ এই মাস। সেই সঙ্গে বিষ্ণুভক্তরাও ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে পারেন কতগুলি উপাচারের মাধ্যমে।
কোন মন্ত্র জপে বৈশাখে ঈশ্বরের আশিস অনিবার্য ?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জীবনে অর্থ, সুখ, সমৃদ্ধির কোনও ঘাটতি হবে না। ইত্যাদির অভাবে ব্যথিত থাকেন, তাহলে বৈশাখ মাসে এই প্রতিকারগুলি অবশ্যই করে দেখুন। লক্ষ্মী নারায়ণ এই রীতিগুলি পালন করলে প্রসন্ন হবেন এবং আপনার জীবন থেকে সব ঝামেলা দূর করবেন। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া পড়ে। এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। দেবী লক্ষ্মীর প্রিয় জিনিসগুলি এই দিনে কিনতে পারলে ভাল। এছাড়াও এই দিনে লক্ষ্মী নারায়ণের পুজো করতে পারলে ভাল। এতে বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বৈশাখ মাসে পরশুরাম, নরসিংহ, কূর্ম, বরাহ ও ভগবান বিষ্ণুর বুদ্ধ অবতারের পুজো করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই একে 'মাধব মাস'ও বলা হয়। এই মাসে প্রতিদিন ১১ বার 'ওম মাধবায় নমঃ' মন্ত্রটি জপ করুন। এতে পরিবারে সুখ আসে।
বৈশাখে আর কী কী করবেন ?
- বৈশাখ মাসের সোমবারে শিবের পুজো করা ভাল। প্রতি সোমবার শিবের রুদ্রাভিষেকও করা ভাল। ভগবানের আশীর্বাদ মিলবে এই রীতি পালনে।
- বৈশাখ মাসে দানের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাসে ঈশ্বরের আশিস পেতে তিল, সত্তু, বস্ত্র, ছাতা, জল এবং ফল ইত্যাদি দান করতে পারেন। এটি আর্থিক অসুবিধা দূর হয় এবং অগ্রগতির পথ খুলে দেয়।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।