Chandrayaan 3 Landing: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে অভিনন্দন ভারতকে, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রথম বার্তা পাঠাল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’
Lander Vikram: চাঁদে পৌঁছেই পৃথিবীতে প্রথম বার্তা পাঠাল ল্যান্ডার 'বিক্রম'।
নয়াদিল্লি: মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস রচনা করল ভারত। চাঁদের মাটি স্পর্শ করল ভারতের চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম'। বুধবার সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করে সেটি। পালকের মতো মাটি ছোঁয়ানোই চ্যালেঞ্জ ছিল এবার। তাই আগাগোড়া সাবধানী ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. শেষ পর্যন্ত তাতে সাফল্য এসেছে। আর চাঁদে পৌঁছেই পৃথিবীতে প্রথম বার্তা পাঠাল ল্যান্ডার 'বিক্রম'। (Chandrayaan 3 Landing)
চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর, পৃথিবীতে যে বার্তা পাঠিয়েছে, ট্যুইটারে (অধুনা X) তা পোস্ট করেছে ISRO. ল্যান্ডার 'বিক্রম'কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, 'ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও'। ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ISRO-ও। (Lander Vikram)
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 23, 2023
'India🇮🇳,
I reached my destination
and you too!'
: Chandrayaan-3
Chandrayaan-3 has successfully
soft-landed on the moon 🌖!.
Congratulations, India🇮🇳!#Chandrayaan_3#Ch3
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার 'বিক্রম' কখন চাঁদের মাটিতে নামবে, গত কয়েক দিন ধরেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল গোটা দেশ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে অধোগমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগে থেকে ঠিক করে রাখা সময়ে, সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে শেষ মেশ চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে ল্যান্ডার 'বিক্রম'। (Chandrayaan 3 Touches Moon)
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে, গত দু'দিনে দফায় দফায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় ল্যান্ডার 'বিক্রমে'র। ইঞ্জিন থেকে যন্ত্রাংশ, কোথাও কোনও গলদ বা ত্রুটি রয়েছে কিনা, শেষ মুহূর্তে কোনও বিপত্তি বাধতে পারে কিনা, বার বার করে তা খতিয়ে দেখেন বিজ্ঞানীরা। যথেষ্ট সময় নিয়েই কার্য সম্পাদন করা হয়, যাতে তাড়াহুড়োতে কিছু চোখ এড়িয়ে না যায়। তাতেই সুফল মিলল।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযানে ঠিক শেষ মুহূর্তে বিপত্তি বাধে। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরিবর্তে, আছড়ে ভেঙে পড়ে চাঁদের বুকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই, এবার ধীরস্থির গতিতে গোটা অভিযান এগিয়ে আনা হয়। ল্যান্ডার 'বিক্রম'ও আগের চেয়ে ঢের বেশি শক্তপোক্ত এবং মজবুত। শুধু তাই নয়, সেন্সরেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বন্ধুর, খানাখন্দে ভরা মাটি আদৌ অবতরণের উপযুক্ত কিনা, তা মাটি ছুঁয়েই টের পেয়ে যায় সেন্সর। উন্নত ক্যামেরার সাহায্যে বেছে নেয় অবতরণের উপযুক্ত ক্ষেত্র। সেই মতোই পালকের মতো মাটি ছোঁয়।