Science News: চতুর্দিকে নিকষ কালো আঁধার, এর মাঝে আলোয় উদ্ভাসিত বলয়! 'অন্য রূপে' শনি দেখল পৃথিবী
২৫ জুন এই ছবিটি তোলে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা (এনআইআরক্যাম) থেকে তোলা ছবি ইতিমধ্যেই গবেষকদের মুগ্ধ করেছে।
কলকাতা: চেনা পরিচিত ছবি নয়, এবার এক অচেনা রূপে ধরা দিল শনি। সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গ্রহের এই ছবি এর আগে দেখা যায়নি। গ্যাসে পরিপূর্ণ এই গ্রহটিকে এবার অদেখা ভাবে দেখল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটিকে ইনফ্রারেড দিয়েই পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
২৫ জুন এই ছবিটি তোলে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ওয়েবের নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা (এনআইআরক্যাম) থেকে তোলা ছবি ইতিমধ্যেই গবেষকদের মুগ্ধ করেছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা সর্বশেষ ছবিতে দেখা যাচ্ছে গ্যাসে পরিপূর্ণ গ্রহটি রয়েছে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। বরং বলয় জ্বলছে উজ্জ্বল আলোকে। বলয়ের চারিদিকে যেন মায়াবি আলোক ঘেরা।
শনির বায়ুমণ্ডলে রয়েছে মিথেন গ্যাস। সেই মিথেনই শোষণ করে নেয় সূর্যালোক। ফলে গ্রহটিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগে। নাসার তরফে একটি ব্লগে বলা হয়েছে, "এই ছবিটি ওয়েব গ্যারান্টিড টাইম অবজারভেশন প্রোগ্রাম ১২৪৭ এর অংশ হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। যাতে শনির বেশ কয়েকটি গভীর এক্সপোজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই এক্সপোজারগুলি গ্রহের চারপাশে অস্পষ্ট চাঁদ এবং এর উজ্জ্বল বলয় সনাক্ত করার টেলিস্কোপের ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।"
২০১০ সালে নাসা জানিয়েছিল, শনির বলয় দু’ মাইক্রন দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ প্রতিফলন ঘটায়। শনির বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের ধোয়াশাও দু’ এবং তিন মাইক্রন এককে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে।ছবিগুলোতে দুটো লং ওয়েভলেংথ ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে দেখা যায় মহাকাশের পটভূমিতে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে শনি গ্রহের বলয়।
আরও পড়ুন, মঙ্গলে মিলল ডোনাটের মতো আজব দেখতে পাথর! কারা রেখে গেল, ধরা পড়ল ক্যামেরায়?
তবে, সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় পরিবর্তিত হতে থাকে শনির বলয়। কীভাবে শনির বলয় পরিবর্তন হয় তা দেখিয়ে দিল নাসা। নাসা এমন ছবি প্রকাশ করল, যেখানে সেই পরিবর্তন স্পষ্ট। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নাসা শনির এক গাদা ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছিল, তা থেকেই নতুন গবেষণার উঠে এসেছে এই তথ্য।
১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত চার বছর ধরে সূর্যের চারপাশে ভ্রমণ করার সময় শনি গ্রহের বলয়গুলি কীভাবে পরিবর্তিত হয়, সেই ছবি তুলেছিল নাসার হাবল টেলিস্কোপ। তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখালেন কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে শনির বলয়গুলি।