Long COVID: ভুলে যাচ্ছেন রাস্তাঘাট, মুখ দেখে চিনতে পারছেন না পরিচিতদের, লং কোভিড নয় তো!
Face Blindness: বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল ‘কোর্টেক্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অন্তত এমনই দাবি করছে।
নয়াদিল্লি: নতুন করে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলেও, নোভেল করোনাভাইরাসের (Novel Coronavirus) জেরে উদ্ভূত অতিমারির সেই ভয়াবহতা আর নেই। স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন মানুষ। আক্রান্তরা সেরে উঠেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এমনও রয়েছেন, যাঁদের ক্ষেত্রে সেরেও সারছে না করোনা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় লং কোভিড (Long COVID)। সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন ঠান্ডা লেগে যাওয়া, মানসিক অবসাদ, হৃদযন্ত্রে নানা সমস্যা লেগে রয়েছে অনেকেরই। সেই লং কোভিড নিয়ে এ বার উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ লং কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে প্রোসোপ্যাগনোসিয়া রোগও দেখা দিতে শুরু করেছে (Face Blindness)।
কোভিড পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গ থেকে যাওয়াতেই এমন সমস্যা!
বিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল ‘কোর্টেক্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অন্তত এমনই দাবি করছে। তাতে বলা হয়েছে, লং কোভিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেকের মধ্যে প্রোসোপ্যাগনোসিয়া বা ফেস ব্লাইন্ডনেস রোগ দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ এই রোগীরা পূর্ব পরিচিত মানুষজনকেও মুখ দেখে চিনতে পারছেন না। কোভিড পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গ থেকে যাওয়াতেই এমন সমস্যা বলে দাবি করছেন গবেষকরা। শুধু মুখ দেখে মানুষ চেনাই নয়, রাস্তাঘাট চিনতে, ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে গিয়েও তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি।
আরও পড়ুন: Tax Saving: হাতে মাত্র ১০ দিন, ৩১ মার্চের আগে ঝুঁকি ছাড়াই কর বাঁচাবে এই ট্যাক্স সেভিং স্কিমগুলি
দাবির প্রমাণস্বরূপ ওই গবেষণায় অ্যানি নামের এক মহিলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৮ বছর বয়সি অ্যানি ২০২০-র মার্চে করোনায় আক্রান্ত হন। তার আগে কখনও মুখ দেখে মানুষ চেনার সমস্যা ছিল না তাঁর। কিন্তু সংক্রমিত দু’মাস পর থেকে পরিচিত লোকজন তো বটেই, নিজের পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধবদেরও চিনতে পারছিলেন না অ্যানি। গবেষণায় বলা হয়েছে, নিজের বাবাকেই চিনতে পারেননি অ্যানি। পাশ কাটিয়ে চলেও যান একবার। বর্তমানে গলা শুনে মানুষকে নতুন করে চেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন অ্যানি। শুধু তাই নয়, পাড়ার দোকানে যাওয়ার রাস্তা, এমনকি নিজের গাড়ি কোথায় থাকে, তা-ও নাকি চিনে যেতে পারছেন না অ্যানি!
এ নিয়ে আমেরিকার ডার্মাউথ কলেজের গবেষকরা একটি সমীক্ষাও চালান। তাতে ৫৪ জন মানুষ, যাঁরা লং কোভিডে আক্রান্ত, তাঁদের অংশগ্রহণ করানো হয়। তাতে দেখা যায়, ওই ৫৪ জনের মধ্যে সিংহভাগেরই এক সমস্যা। তাই ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন স্নায়ু এবং মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়, যা থেকে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, লং কোভিডের ক্ষেত্রেও তেমন ঘটে অনেকের সঙ্গেই।
১২ সপ্তাহের বেশি সময় পরও যদি করোনার উপসর্গ রয়ে যায়, তা উদ্বেগজনক
প্রথম বার সংক্রমিত হওয়ার পর, ১২ সপ্তাহের বেশি সময় পরও যদি করোনার উপসর্গ রয়ে যায় শরীরে, সে ক্ষেত্রে রোগীর ওই অবস্থাকে লং কোভিড বলা হয়। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে কউপনীত হতে আরও বৃহত্তর পর্যায়ে গবেষণার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )