(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sunita Williams: মহাকাশে এবার সাফাইকর্মীর ভূমিকায়, বাথরুম পরিষ্কার করলেন সুনীতা উইলিয়ামস
International Space Station: মাত্র আটদিনের অভিযানে গিয়ে মহাকাশে গত কয়েক মাস ধরে আটকে রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি।
নয়াদিল্লি: কথায় আছে যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সেই প্রবাদকে সত্যি করে মহাকাশে সাফাইকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে স্নানঘর, শৌচালয় পরিষ্কার করলেন তিনি। স্নানঘর এবং শৌচালয় একেবারে ঘষেমেজে পরিষ্কার করলেন তিনি। সেই কাজে সুনীতাকে সাহায্য করলেন তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরও। (Sunita Williams)
মাত্র আটদিনের অভিযানে গিয়ে মহাকাশে গত কয়েক মাস ধরে আটকে রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি। তবে মোটেই শুয়ে-বসে সময় কাটছে না তাঁদের। গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও বর্তেছে তাঁদের কাঁধে। সেই মতোই সাফ-সাফাইয়ের কাজে হাত দিলেন সুনীতা। (International Space Station)
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছে, ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইজিন ডিপার্টমেন্ট থেকে আবর্জনা সরিয়েছেন সুনীতা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইজিন ডিপার্টমেন্ট বলতে শৌচাগার বোঝানো হয়। ওই কাজ করতে গিয়ে সুনীতার অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছে NASA. নিজের কাজের ফাঁকে সুনীতাকে সাফাইয়ে সাহায্য করেন ব্যারিও।
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ প্রযুক্তি বিয়ে গবেষণা করছেন। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকলেও আগুন কী ভাবে ছড়াতে পারে, তার মোকাবিলাই বা কী ভাবে করা যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি, স্পেসস্যুটগুলির দেখভালও করছেন তিনি। সম্প্রতি SpaceX ড্রাগন কার্গো মহাকাশযান একটি স্পেসস্যুট পৌঁছে দেয় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেটি নিয়েই ব্যস্ত ব্যারি।
স্পেসস্যুটের হার্ডওয়্যার, ক্যামেরা, ডেটা কেবলগুলি পরখ করে দেখছেন তিনি। যে কোনও মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে বাইরে বেরোতে হতে পারে। তার জন্যই সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হয় নভোশ্চরদের। স্পেসস্যুটে মজুত জল খআলি করে নতুন করে জলও ভরেছেন ব্যারি। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে বিপদে না পড়তে হয়।
আটদিনের অভিযানে গিয়ে গত ছ'মাস ধরে মহাকাশে আটকে সুনীতা এবং ব্যারি। রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের ঘাম এবং প্রস্রাবকে জলে পরিণত করা হচ্ছে মহাকাশে। সেই জলই ব্যবহার করছেন দুই নভোশ্চর। জলের অপচয় রুখতেও হয় তাঁদের। তবে স্যুপ, স্টু, তৈরি করতে যে জল লাগে, তা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন মজুত ৫৩০ গ্যালনের ট্যাঙ্ক থেকেই সংগ্রহ করা হয়। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হতে পারে পৃথিবীতে। সেই দায়িত্ব পেয়েছে ইলন মাস্কের SpaceX.