World's Oldest Bread: রুটি না হলে খাওয়া হয় না? খোঁজ মিলল পৃথিবীর প্রাচীনতম রুটির
Science Stories: ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ। বারে বারে পাল্টে গিয়েছে রুটি স্বাদ-চেহারা-আকার। এবার খোঁজ পাওয়া গেল প্রাচীন একটি রুটির
কলকাতা: ব্রেকফাস্টে বা স্কুল-অফিসে টিফিনে কিংবা সন্ধেয় টুকটাক খাবার। আম-বাঙালির জীবনে রুটি হোক বা পাউরুটি- গুরুত্ব অপরিসীম। ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ। বারে বারে পাল্টে গিয়েছে রুটি স্বাদ-চেহারা-আকার। এবার খোঁজ পাওয়া গেল প্রাচীন একটি রুটির। তবে তা ভারত থেকে বহুদূরে। সেই তুরস্কে।
আর্কিওলজিস্ট বা প্রত্নতাত্ত্বিকরা খোঁজ পেলেন এমনই একটি রুটির (Oldest Bread)। তুরস্কে খননকার্যে সামনে এল সেই রুটির অংশবিশেষ। সেটাই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো রুটি (এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে)। কত পুরনো? সূত্রের খবর এই রুটি ৬৬০০ বিসি (6600 BC) -এর বা কমবেশি ৮৬০০ বছরের পুরনো। এটি পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ তুরস্কের Konya এলাকায় থাকা ক্যাটালহোয়ুক (Catalhoyuk) নামে একটি জায়গা থেকে যা প্রত্নতত্ত্বের দিক (archaeological site) থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Görselde, 8.600 yıllık bir ekmek görüyorsunuz.
— Necmettin Erbakan Üniversitesi (@NEUniversitesi) March 6, 2024
Analizleri Üniversitemizde yapıldı.✅
Detayları haberimizde👇https://t.co/o9rtEbpyyc pic.twitter.com/vxvpaJVq9u
ওই এলাকায় একটি অংশকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন "Mekan 66", এই এলাকাটি অতি প্রাচীন ইট দিয়ে তৈরি বাড়ি দিয়ে ঘেরা। যেখান থেকে রুটিটির (Oldest Bread in the World) অবশেষ পাওয়া গিয়েছে সেটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ওভেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্কের Necmettin Erbakan University Science and Technology Research and Application Center (BITAM)- এর প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে রুটিটি সম্ভবত গোলাকার এবং নরম বা স্পঞ্জি ছিল- বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। যে অবশে।
সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তুরস্কের Anadolu University -এর প্রফেসর এবং খননকাজ চালানো দলের প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক Ali Umut Turkcan জানিয়েছেন, 'এখানে যেটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, আমরা বলতে পারি এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো রুটি।' তিনি আরও জানিয়েছেন, রুটির মাঝখানে আঙুল দিয়ে দাবানো হয়েছে, এটি রুটি বেকড নয়, ফার্মেন্টেড এবং এখনও এর ভিতরে স্টার্চের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেছেন, 'এর আগে পর্যন্ত এমন কিছুর সন্ধান মেলেনি।'
মাইক্রোস্কোপিক অ্যানালিসিস-এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা নিজেদের সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণ পেয়েছেন। ফলে এটা যে রুটির অবশেষ তা নিয়ে সন্দেহ থাকে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের Gaziantep University-এর বায়োলজিস্ট Salih Kavak. রুটির অবশেষের রাসায়নিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাতেই প্রমাণ মিলেছে ফার্মান্টেশনের। এটি তৈরিতে কোনও শস্যের আটা বা ময়দাজাতীয় কিছু এবং জল ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আপনার কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কে হলেন? পুরনো নেতা না কি নতুন মুখ?