Soul Leaving the Body: কী হয় মৃত্যুর ঠিক আগে ও পরে? আত্মা শরীর ছাড়ার সময় কী করে মস্তিষ্ক? নতুন দিশা গবেষণায়
Death Study: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মানবশরীরে ঠিক কী ঘটে, তা নিয়ে গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

নয়াদিল্লি: মৃত্যুর পর নিথর হয়ে যায় দেহ। কিন্তু আত্মার শেষও কি মৃত্যুতে? কোনও ব্যক্তির শরীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে, সঙ্গে সঙ্গে আত্মাও কি শেষ হয়ে যায়, না কি আরও কিছু ক্ষণ শরীরে বিরাজ করে আত্মা? এ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা যদি কাউকে মৃত ঘোষণা করেও দেন, তার পরও কিছু ক্ষণ মস্তিষ্ক কার্যকর থাকে। ওই সময়ই শরীর থেকে বেরিয়ে যায় আত্মা। (Soul Leaving the Body)
মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মানবশরীরে ঠিক কী ঘটে, তা নিয়ে গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মৃত্যু পথগামী রোগী, যাঁর কোনও হৃদস্পন্দন নেই, রক্তচাপও নেই, অথচ মস্তিষ্ক কিছু ক্ষণ সক্রিয় থাকে। একঝলকে কোনও শক্তি যেন খেলে যায়, যা শরীর থেকে আত্মার বেরিয়ে যাওয়ার প্রমাণ। অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট এবং মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ স্টুয়ার্ট হামেরফ জানিয়েছেন, এর রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। (Death Study:)
ডঃ হামেরফ জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যালি ডেড এক রোগী, অর্থাৎ যাঁকে মৃত ঘোষণা করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা, তাঁর মস্তিষ্কে নজরদারি চালানো হয়। ব্যবহার করা হয় ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রামের (EEG) সেন্সর। রোগীর মৃত্যুর পরও ওই সেন্সরে অদ্ভূত এক শক্তির ঝলক ধরা পড়ে। ডঃ হামেরফ বলেন, "সব কিছু চলে গিয়েছিল, হঠাৎ শ্শ্শ্...হৃদস্পন্দন নেই, রক্তচাপ নেই, কিন্তু কার্যকলাপ চলছে। হতে পারে সেটি মৃত্যুর কাছাকাছি কোনও অভিজ্ঞতা, অথবা শরীর থেকে আত্মার বেরিয়ে যাওয়া।" আমেরিকার New York Post-ও ডঃ হামেরফ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।
শরীর নিথর হয়ে যাওয়ার পর মস্তিষ্কের ওই কার্যকলাপকে Gamma Synchrony নামক কার্যকলাপের বিস্ফোরণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এটি একটি মস্তিষ্কে খেলে যাওয়া এক ধরনের তরঙ্গ, যা আমাদের সচেতন চিন্তা, সচেতনতা এবং উপলব্ধির সঙ্গে সংযুক্ত। EEG-তে সেই কার্যকলাপই ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ। তিনি জানিয়েছেন, ৩০ থেকে ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত এই কার্যকলাপ স্থায়ী হতে পারে। মৃত ঘোষণা করে দেওয়ার পরও চলে। ৫০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ।
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার অধ্যাপক ডঃ হামেরফ। এ ব্যাপারে কিছু গবেষক যে একমত নন, তাও মেনেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ক্ষণস্থায়ী ওই কার্যকলাপকে অনেকে নিউরনের 'শেষ নিঃশ্বাস' বলেন। কেউ আবার গোটা বিষয়টিকে 'বিভ্রম' বলেই উল্লেখ করেন। কিন্তু ডঃ হামেরফের মতে, আসলে চেতনা শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ারই প্রতীক ওই কার্যকলাপ। তাঁর মতে, চেতনা ধরে রাখতে বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়ে না শরীরের। মস্তিষ্কের একেবারে গভীরে লুকিয়ে থাকে চেতনা। মানবশরীর যখন শেষ হয়, তাই একেবারে শেষে চেতনার অবলুপ্তি ঘটে।
শুনুন কী বলছেন বিজ্ঞানীরা- https://rumble.com/v6mi1uc-this-scientist-is-revealing-our-quantum-consciousness.html?e9s=src_v1_ucp
এ প্রসঙ্গে একটি গবেষণাপত্রেরও উল্লেখ করেন ডঃ হামেরফ, যার নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ রবিন লেস্টার কারহার্ট-হ্যারিস। মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণের উপর ওষুধের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। EEG-র পর্যবেক্ষণে MRI করা হয় অনেকের, যেখানে সকলকে Sychoactive Compound Psilocybin দেওয়া হয়েছিল। চোখ বুজে সকলে শুয়েছিলেন। নড়াচড়া বারণ ছিল। সেই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা পরীক্ষার পর ব্যাখ্যাও করতে হয় সকলকে। সেখান থেকে বেরিয়ে কেই বিভ্রমের কথা জানান, কেউ জানান চেতনা ছিল না তাঁদের। কেউ কেউ আবার অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি। Sychoactive Compound Psilocybin প্রয়োগের ফলে MRI উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। আগামী দিনে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডঃ হামেরফ।






















