Merlin Rise: একের মধ্যে অনেক পাওয়ার আনন্দ - মার্লিন রাইস, আশ্রয় আপনার স্বপ্নের টাউনশিপে
এবার সবাই মিলে উইকেন্ডের আড্ডাটা তাহলে মার্লিন রাইসের সামনের বিশাল সবুজ লনেই হচ্ছে। কী, আপনি যোগ দিচ্ছেন তো ? তাহলে আর দেরি কেন !
কলকাতা: রবিবারের সকাল বলে কথা। বারান্দার ইজি চেয়ারে মিষ্টি রোদে গা এলিয়ে দিয়েছেন শোভনবাবু। কফি কাপে একটা চুমুক দিয়ে কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের রোম্যান্টিক স্মৃতিতে সবে ডুব মারতে যাবেন, ঠিক সেই সময় -
'কই গো, তুমি যে বলেছিলে উইকএন্ডে বুবলুকে স্পোর্টস অ্যাকাডেমিটা ঘুরিয়ে আনবে। এখন থেকে কথা বলে না রাখলে ওখানে তো আর চান্স পাওয়া যাবে না'-
ব্যস, পড়ি কি মরি কোনওমতে একচুমুকে কফিটা শেষ করে বুবলুর স্বপ্ন বুনতে দৌড়নোর প্রস্তুতি নিতে লাগলেন শোভনবাবু। এই রোববারেও !কী আর করা। সেই যে ভেবেছিলেন, কত আয়েশ করে ছুটির দিনটায় একটু মিষ্টি স্মৃতিচারণ করবেন, তা আর হল কই ! এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বুবলুর উদ্দেশে একটা হাঁক পাড়লেন শোভনবাবু। ঠিক তখনই চোখ পড়ল বিজ্ঞাপনটায়। আর তা দেখে মনটা যেন পেখম তোলা ময়ূরের মতো নেচে উঠল আনমনে।
শোভনবাবু মাল্টি ন্যাশনাল IT কম্পানিতে রয়েছেন বছর দশেক। সবকিছুই করেছেন আস্তে আস্তে। কিন্তু কোনওকিছুতেই যেন শান্তি নেই। কারণটা তার মনের মত আশ্রয়ের সন্ধান এতদিন চেষ্টা করেও তিনি পাননি। তিনি চাইছিলেন এমন একটা ছাদ, আর সে ছাদ এমন একটা টাউনশিপে হোক, যেখানে হাত বাড়ালেই ছোঁওয়া যাবে স্কুল, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হাসপাতাল। যেখানে রোজকার দৌড়ঝাঁপগুলো মনেই হবে না দৌড়ঝাঁপ, না মাটি হবে উইকএন্ডের আনন্দ। না, ঠিক এখনকার আর পাঁচটা হাউসিং সোসাইটিতে থাকতে তিনি চাইছিলেন না। চাইছিলেন আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্য। চাইছিলেন একের মধ্যে অনেক পাওয়ার আনন্দ। তাই তো বিজ্ঞাপনটা দেখে শোভনবাবুর মনটা নেচে উঠেছিল। বলতে ইচ্ছে করছিল, ইউরেকা, ইউরেকা।
বিজ্ঞাপনটা মার্লিন রাইসের (RISE Merlin)। বাড়ন্ত শহরের মধ্যে নিজস্ব আশ্রয়ের সঠিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঠিকানা। তাও আবার একদম গোটা একটা টাউনশিপ সঙ্গে করে। কী নেই সেখানে। নিত্যপ্রয়োজনীয় শপিং সেন্টার, বাচ্চাদের স্কুলের কথা তো বাদই দিলাম। মার্লিন রাইসের টাউনশিপে থাকছে আস্ত ক্রিকেট খেলার মাঠ, ফুটবল গ্রাউন্ড, সুইমিং পুল। নামীদামি ব্র্যান্ডের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ফুটবল অ্যাকাডেমি, সুইমিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে আপনার ছেলেমেয়ে। আর সবে তো শুরু। এই টাউনশিপের পরবর্তী ফেজ়গুলোয় আরও আকর্ষণ। এককথায়, এখানে নেই যা, কোথাও নেই তা।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে এই একের মধ্যে অনেক, শহরের মধ্যে নিজস্ব শহরটা ঠিক কোথায় ? এই তো কাছেই। রাজারহাট চৌমাথায়। মেট্রো হাতের কাছে। রয়েছে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এয়ারপোর্ট, তাও নাগালেই। পার্শ্ববর্তী নিউটাউন, সংলগ্ন এলাকায়। এখানেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের 2 BHK, 3 BHK। ভাবছেন দামের কথা ? একদম আপনার সাধ্যের মধ্যে। নানা সুবিধা একেব্বারে হাত বাড়ালেই।
ও, আর একটা কথা। সময় কিন্তু বেশি নেই হাতে। একটু তাড়াতাড়ি করুন। আর মার্লিন রাইসের গর্বিত বাসিন্দা হয়ে যান। ভুলে যান পুরনো সে সবদিনের কথা, যেখানে আপনি থাকেন একজায়গায়, ছেলেমেয়ের স্কুল আরেক। সুপারমার্কেট যাওয়ার ইচ্ছে হলে তা এত দূরে যে ছুটির অর্ধেক বেলাই হয়ে যায় মাটি। অসুখবিসুখে হাসপাতালে চক্কর কাটতে বর্ধিত তেলের দামে পকেট হয় গড়ের মাঠ, যানজটে জীবন অতিষ্ঠ। আর ভুলে যান, মাসে মাসে ভাড়া গুনে স্বপ্নকে শেষ হতে দেখা। আপনার নিজের আশ্রয়ের এত ভালো অপশন এসে গেছে তো।
মার্লিন রাইসে আপনি পাবেন অফুরন্ত সময়। আপনার কর্মব্যস্ততা থেকে নিজের জীবনকে, পরিবারকে দিতে পারবেন অনেকটা। কারণ, কমে যাবে দৌড়ঝাঁপ। উচ্চ গুণগত মানের সবরকম পরিষেবাই যে আপনি পেয়ে যাবেন মার্লিন রাইসে। আপনার একান্ত নিবিড় আশ্রয়ে। এটাই সময় এই স্বপ্নের বিনিয়োগটা করার। কে না বলতে পারে মার্লিন রাইসের মতো হাউসিং টাউনশিপে বিনিয়োগে আপনার ভবিষ্যতের মোড়টাই ঘুরে যাবে। আর শুধু কি পরিষেবা ? বর্তমান ব্যস্ত সময়ে আপনার সুরক্ষাটাও যে মার্লিন রাইসের টপ প্রায়োরিটি। এই টাউনশিপের সুরক্ষাব্যবস্থা একদম নিখুঁত বলাই চলে। টাউনশিপে চব্বিশ ঘণ্টা, সর্বক্ষণ কড়়া নজরদারিতে আপনি ও আপনার পরিবার থাকবে সুরক্ষিত।
একটা সুখবর। শোভনবাবু কিন্তু বুকটা করেই ফেলেছেন। ওই যে বললাম না, সময় একদম নেই হাতে। এ সুবর্ণ সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে ! তাই শোভনবাবু ঠিক করেছেন, তাঁর ল ইয়ার বন্ধু শাসমল, আর পাড়াতুতো দাদা ডক্টর মুখার্জিকেও তাঁর প্রতিবেশী করবেন। নানা হ্যাপা মিটে যাবে তাঁরা মার্লিন রাইসের বাসিন্দা হলে। আর মনের খোরাক বলেও তো একটা কথা আছে।
ও, হ্যাঁ। বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম- আর কাকে কাকে এই তালিকায় রাখবেন, মনে মনে তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলেছেন শোভনবাবু। গদগদ হয়ে স্ত্রীকে খবরটা দেবেন এমন সময় টুংটাং করে উঠল পকেটের মোবাইল। স্ক্রিনে চোখ রাখতেই একচিলতে হাসি টোল দিয়ে গেল মুখে। ফোন কানে দিয়ে স্মিতভাবে বললেন, হ্যালো...
'...হ্যালো, মিস্টার পাল, আপনার বুকিংটা কনফার্মড।'
শোভনবাবু ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন - এ ফোন মার্লিন রাইস কর্তৃপক্ষের। ওপারের ভদ্রলোক বলে চলেছেন - ' আপনাদের ভালবাসায় আমাদের ভালো-বাসা গড়ার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গিয়েছে। এত মানুষ দেখতে আসছেন। বুকিং করছেন। এত মানুষের মুখে মার্লিন রাইসের কথা- সে তো আপনাদের জন্যই। তাই গ্রাহকদের এত ভালো রেসপন্স আর সনির্বন্ধ অনুরোধে আমরা ঠিক করেছি...'
ফোনটা রেখেই শোভনবাবু ডায়াল করলেন পাড়াতুতো দাদা ডক্টর মুখার্জিকে। তাঁকেও যে সুখবরটা দিতে হবে। সুখবরটা হল - গ্রাহক-চাহিদায় আরও একটি টাওয়ার হচ্ছে মার্লিন রাইসের টাউনশিপে। আর বুকিংয়ের শেষদিনটাও বাড়ানো হয়েছে বেশ খানিকটা। ডিসেম্বরের বাইশ তারিখ পর্যন্ত অনায়াসে করা যাবে বুকিং।
এবার সবাই মিলে উইকেন্ডের আড্ডাটা তাহলে মার্লিন রাইসের সামনের বিশাল সবুজ লনেই হচ্ছে। কী, আপনি যোগ দিচ্ছেন তো ? তাহলে আর দেরি কেন !
আজই যোগাযোগ করুন - +91 7126 2606
বিশদে জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে - https://www.merlinrise.com