Sachin on 1983 Cricket WC: কপিলদের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রত্যেক উইকেট পড়ার উৎসব মনে পড়ছে সচিনের
ঐতিহাসিক ২৫ জুন। ১৯৮৩ সালের যে দিন কার্যত অপ্রতিরোধ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কপিল দেবের ভারত। গোটা বিশ্ব যে দলকে 'কপিলস ডেভিলস' নামে কুর্নিশ করেছিল।
মুম্বই: ঐতিহাসিক ২৫ জুন। ১৯৮৩ সালের যে দিন কার্যত অপ্রতিরোধ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কপিল দেবের ভারত। গোটা বিশ্ব যে দলকে 'কপিলস ডেভিলস' নামে কুর্নিশ করেছিল।
ভারতীয় ক্রিকেটের এই অবিস্মরণীয় দিনে আবেগাপ্লুত মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। যিনি নিজে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্য়তম সদস্য ছিলেন। সেই সচিন শুক্রবার ট্যুইট করেছেন, 'সেই দিন, যেদিন ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস পাল্টে গিয়েছিল। প্রত্যেক উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কীরকম উৎসব করেছিলাম আমার তা আজও মনে পড়ে। বিশ্বকাপ জিততে দেখার গর্ব কোনওদিন ভুলব না।' সেই সঙ্গে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন সচিন।
ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৩৮ বছর পূর্ণ হল শুক্রবার। কেউই কল্পনা করতে পারেননি যে, ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জিততে পারে। তাও ক্লাইভ লয়েডের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে হারিয়ে। সেই সময় ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠাটাই দেশবাসীর কাছে অনেক বড় একটা কৃতিত্ব ছিল। কারণ, তার আগের দুটো বিশ্বকাপের ভারত মাত্র একটাই ম্যাচ জিততে পেরেছিল। টুর্নামেন্টে ভারতীয় ক্রিকেট দল যে স্পষ্টতই আন্ডরডগ ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কপিলের দলের কাছে সেভাবে কোনও প্রত্যাশাও ছিল না।
৩৮ বছর আগে ক্রিকেট মানচিত্রে ভারতকে শক্তিশালী দেশ করে তোলার জন্য রাতারাতি খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কপিল দেব৷ গ্রুপ বি-তে ফাইনালে পৌঁছনোর পথে ৬টি ম্যাচের চারটি জিতেছিল ভারত৷ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া৷ ফাইনালে প্রত্যয়ী ক্যারিবিয়ান বাহিনীকে হারিয়ে স্বপ্ন সফল করে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১১ জন তরুণ৷
পুঁজি মাত্র ১৮৩ রান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ডেসমন্ড হেইন্সকে নিয়ে ক্রিজে কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস। ভারতকে ম্যাচে ফেরান মদন লাল। ডেসমন্ড হেইন্সের পর তুলে নেন বিপজ্জনক ভিভকে। অনেকটা দৌড়ে এসে ভিভের ক্যাচ কপিলের তালুবন্দি করা বিশ্বক্রিকেটে অমর দৃশ্য হয়ে রয়েছে। ৫৭/৩ থেকে ৭৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের। মদন লাল, মহিন্দর অমরনাথ, বলবিন্দর সিং সান্ধুদের দাপুটে বোলিংয়ে রচিত হয় নতুন ইতিহাস।