এক্সপ্লোর
Advertisement
দেখুন: অন্তিম ১৮ বলে টানটান লড়াই, শেষ বলে জয়ে এনে দিলেন কেদার
দুবাই:মরু শহর দুবাইয়ে শুক্রবারের রাত দেখল একেবারে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত রোমহর্ষক লড়াই। এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বল পর্যন্ত চলল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনায় ঠাসা দ্বৈরথ। শেষপর্যন্ত অবশ্য বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবার এশিয়ার সেরা হল মেন ইন ব্লু।
ম্যাচের প্রথম বল থেকেই এ রকম তীব্র লড়াই, একদিনের ক্রিকেটে খুব একটা দেখা যায় না। তবে শেষ ১৮ বল পেন্ডুলামের মতো এদিক, ওদিক ঝুলেছে। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে ভারত অবশ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত হেরে যাবে। কিন্তু ব্যাট হাতে রবীন্দ্র জাডেজা, ভূবনেশ্বর কুমার এবং চোট পাওয়া কেদার, সেই সঙ্গে কুলদীপ যাদবের দৃঢ় প্রত্যয় ভারতকে জয়ের সরণিতে পৌঁছে দেয়।
দলের ৮৩ রানে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর সমর্থকদের ভরসা হয়ে দাঁড়ায় দীনেশ কার্তিক (৩৭) এবং ফিনিসার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (৩৬)-এর জুটি। কিন্তু দলের স্কোর ১৬০-এ পৌঁছতে না পৌঁছতেই দুই ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে যান। কেদার যাদব (অপরাজিত ২৩) চোট পেয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার পর ভারতের সংকট প্রবল হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশি বোলাররা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালান। কিন্তু জাডেজা (২৩) এবং ভূবনেশ্বর কুমারের মধ্যে সপ্তম উইকেটে ৪৫ রানের জুটিতে একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে।
শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৩ রান। ক্রিজে জাডেজা ও ভূবি। ৪৮ তম ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরফি মোর্তাজা বল তুলে দেন রুবেল হুসেনের হাতে। আর ওই ওভারে যা ঘটল তাতে ম্যাচ আরও একবার ঢলে পড়ল বাংলাদেশের দিকে।
রুবেল জাডেজাকে আউট করে ভারতকে মুশকিলে ফেলে দেন। এরপর ক্রিজে আসেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়া কেদার। ওই ওভারে ভারত চার রান করে।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯ রান। কিন্তু ৪৯তম ওভারে উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ভূবি মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে আউট হয়ে যান। ব্যাট করতে নামেন কুলদীপ। একদিকে, চোট পাওয়া কেদার, অন্যদিকে নতুন ব্যাটসম্যান কুলদীপ। ১১ বলে ভারতের দরকার ৯ রান। মুস্তাফিজুর দুরন্ত বল করেন।ওই ওভারে মাত্র তিন রান দেন তিনি। শেষ বলে ২ রান নেন কেদার।
— Kabali of Cricket (@KabaliOf) September 28, 2018শেষ ওভারে প্রয়োজন ছয় রান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে কুলদীর। হৃদস্পন্দন তখন দ্রুত হয়েছে ভারতীয় শিবিরে। কুলদীপ অবশ্য প্রথম বলেই সিঙ্গল নেন। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ফিরে এসে কেদার পরের বলে সিঙ্গল নেন। তৃতীয় বলে বড় শট খেলেন কুলদীপ। কিন্তু বাউন্ডারি হয়নি। দুই রান হয়। চতুর্থ বলে রান নিতে পারেননি কুলদীপ। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে স্কোর টাই করেন তিনি। শেষ বলে জয়ের জন্য একরান প্রয়োজন। কেদার বলটি গ্লান্স করে দলকে জয় এনে দেন।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
স্বাস্থ্য
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement