এক্সপ্লোর
অস্ট্রেলিয়ানদের স্লেজিং দেখে মনে হচ্ছিল ওরা জিতে গিয়েছে, ৩ বছরের পুরনো ঘটনার স্মৃতিচারণ পূজারা-অশ্বিনের
পুণেতে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হেরে যায় ভারতীয় দল। এরপর বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ ৭৫ রানে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শেষপর্যন্ত ২-১ ফলে সিরিজ জেতে ভারত।

Indian team poses with the Border-Gavaskar Trophy after winning the test cricket series against Australia in Dharmsala, India, Tuesday, March 28, 2017. India won the four-match series 2-1. (AP Photo/Tsering Topgyal)
নয়াদিল্লি: ক্রিকেট মাঠে স্লেজিংয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা কুখ্যাত। অ্যাশেজ হোক বা ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ, স্লেজিংয়ের জন্য বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন অজিরা। ইনস্টাগ্রাম লাইভ সিরিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সেরকমই একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন টেস্টে ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা। তিনি ২০১৭ সালের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের স্লেজিংয়ের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন। সেই ঘটনারই স্মৃতিচারণা করেছেন পূজারা। স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে সেই সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত করে অস্ট্রেলিয়া। পুণেতে প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হেরে যায় ভারতীয় দল। এরপর বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ ৭৫ রানে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শেষপর্যন্ত ২-১ ফলে সিরিজ জেতে ভারত। দ্বিতীয় টেস্ট প্রসঙ্গে পূজারা জানিয়েছেন, ‘প্রথম টেস্টে হারের পর আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। চার টেস্টের সিরিজে ০-১ পিছিয়ে পড়ার পর ফিরে আসা সবসময় কঠিন। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে আমরা ভাল ব্যাট করতে পারিনি। তাই ব্যাটিং করতে নামার সময় চাপে ছিলাম। তবে প্রথম ইনিংসের পর অনিলভাই (ভারতীয় দলের তৎকালীন কোচ অনিল কুম্বলে) আমাকে বোঝান, নাথান লিঁয়র বল কীভাবে সামলাতে হবে। আমি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডামিতে গিয়ে অনুশীলন করি। তার ফলে উপকার হয়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সময়েও আমি চাপে ছিলাম। কারণ, ওরা প্রচণ্ড স্লেজিং করছিল। ওরা সিরিজে এগিয়েছিল, কিন্তু এমন করছিল যেন এই ম্যাচও জিতে গিয়েছে। চা-পানের বিরতির সময় আমি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরি, তখন আমার সঙ্গে ছিল অজিঙ্কা রাহানে। তখনও ওরা স্লেজিং করছিল। তারপরেই খেলা ঘুরে যায়।’ অশ্বিন সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘প্রথম ইনিংসের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা আমার মনে আছে। প্রথম ইনিংসে নাথান লিঁয় ৮ উইকেট নেয়। প্রথম দিনের শেষদিকে ও দুর্দান্ত বোলিং করছিল। তবে এরপরেই বল ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়। পিচ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। অনিলভাই আমাকে কিছু পরামর্শ দেন। তবে আমি তাঁকে বলি, উইকেট পেতে গেলে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি এ বিষয়ে আমার সঙ্গে একমত হন। পরের দিন আমি যখন ডেভিড ওয়ার্নার ও ম্যাট রেনশর বিরুদ্ধে বোলিং করছিলাম, তখন কয়েকটি বল শর্ট-লেগের দিকে চলে যায়। সেই সময় রেনশর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল, ওরা ম্যাচ জিতে যাবে। আমি রেগে গিয়ে ওকে বলি, প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে না পারলে তোমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রানও করতে পারবে না। শেষপর্যন্ত আমরাই ম্যাচ জিতি।’
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















