Sourav Ganguly: বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে আর দেখা যাবে না সৌরভকে? প্রার্থী হিসাবে থাকছে চমক, খবর সূত্রের
BCCI AGM: শোনা যাচ্ছে, জয় শাহ ফের সচিব পদেই থাকতে পারেন। আর প্রেসিডেন্ট পদে আচমকাই ভেসে উঠছে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রজার বিনির নাম।
কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট হিসাবে আর কি দেখা যাবে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly)?
ভারতীয় বোর্ডের একাংশ থেকে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সৌরভকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভাবা না-ও হতে পারে। তাহলে কি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পুত্র জয় শাহ?
সেখানেই চমক। শোনা যাচ্ছে, জয় শাহ ফের সচিব পদেই থাকতে পারেন। আর প্রেসিডেন্ট পদে আচমকাই ভেসে উঠছে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রজার বিনির নাম।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বোর্ডের শীর্ষ স্তরের সব কর্তা এক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ছিলেন সৌরভ নিজেও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, বৈঠকে হাজির ছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল, কোষাধ্য়ক্ষ অরুণ ধুমল ও বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। লোঢা কমিটির সুপারিশে সত্তরোর্ধ্বরা বোর্ডের পদাধিকারী হতে পারেন না বলে শ্রীনিবাসন নিজে সরাসরি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। কিন্তু একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেটের শেষ কথা শ্রীনিবাসন যে বোর্ড মহলে এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী, সেটা কারও অজানা নয়।
১৮ অক্টোবর বোর্ডের নির্বাচন। সুপ্রিম কোর্ট কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বোর্ড ও রাজ্য সংস্থার পদে আলাদা আলাদা করে একটানা ৬ বছর থাকতে পারবেন কেউ। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত সৌরভের বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকতে সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। যদিও বোর্ডের কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছিল, যদি সৌরভই প্রেসিডেন্ট থাকেন তাহলে এই পর্বে জয় শাহর আর প্রেসিডেন্ট হওয়া হচ্ছে না। কারণ ২০২৫ সালে সৌরভ ও জয়, দুজনকেই ৩ বছরের বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে। মনে করা হচ্ছিল, জয়ই প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন। আর সৌরভকে হয়তো আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে মনোনীত করা হবে।
যদিও শেষ মুহূর্তে সব অঙ্ক বদলে যেতে পারে। ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত সকলেই জানেন যে, বোর্ডের ম্যাচও খানিকটা স্লগ ওভারের মতো। ২-১ ওভারে যেমন বাইশ গজের ম্যাচে রং পাল্টে যেতে পারে, সেরকমই শেষ মুহূর্তে রাজনীতির হেভিওয়েট বা বোর্ডের পোড়খাওয়া কর্তাদের অঙ্গুলিহেলনে বদলে যেতে পারে অনেক সমীকরণ। ১৮ অক্টোবর সেরকম কোনও চমক নিয়ে হাজির হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: পয়েন্ট টেবিলে সকলের নীচে থাকতে আসিনি, প্রথম ম্য়াচের আগে হুঙ্কার ইস্টবেঙ্গল কোচের