Ranji Trophy: মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন, জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি অনুষ্টুপের, ম্যাচে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারল বাংলা?
Anustup Majumdar Shahbaz Ahmed: এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে আদিত্য পুরোহিতের। ইনিংস ওপেন করে মাত্র ৬ রানে আউট হন তিনি।

সুরাত: পিচ থেকে নাকি স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পাবেন। যে কারণে তিন স্পিনার নিয়ে নেমেছে বাংলা। শাহবাজ আমেদ ও রাহুল প্রসাদের সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার হিসাবে খেলানো হচ্ছে বিশাল ভাট্টিকে। যে ইঙ্গিত শুক্রবারই দিয়েছিল এবিপি লাইভ বাংলা। সেই পিচে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করা মানে যে কোনও দলই সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে। প্রথমে ব্যাটিং করে বড় স্কোর প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে দাও আর ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভাঙা আর ধুলো ওড়া পিচে দলের স্পিনারদের এগিয়ে দাও, ম্য়াচ জেতার সহজ মন্ত্র।
অথচ সেই সুযোগ পেয়েও কেঁপে গেল বাংলা (Bengal Ranji Team)! টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর দাঁড়াল ১৬/২! লাঞ্চের সময় ৩১ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩৭/৩! স্কোরবোর্ড দেখে চারদিকে আলোচনা শুরু হয়ে গেল, বাংলা কি আদৌ রেলওয়েজের সঙ্গে খেলছে, নাকি প্রতিপক্ষ স্বর্ণযুগের ওয়েস্ট ইন্ডিজ? কিংবা লিলি-থমসনের অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণ?
আধুনিক ক্রিকেটে যেখানে একদিনের ৯০ ওভারে সাড়ে তিনশো রান উঠছে, সেখানে ওভার প্রতি প্রায় এক রান করে তোলা বাংলার ব্যাটিং নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে যায়।
কুৎসিত ও মন্থর ব্যাটিং করেও সুরাতে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে বাংলা শিবিরে স্বস্তি। কারণ, দুই পোড়খাওয়া সৈনিকের লড়াই। অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আমেদ। ৬১/৪ হয়ে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে দুজনে যোগ করলেন ১৩৪ রান। এবং সেটাও মাত্র ৩২.৩ ওভারে। ওভার প্রতি প্রায় চার রান করে তুলে। নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকে এগচ্ছিলেন শাহবাজ। চাপের মুখে লম্বা ইনিংস খেলাটা যিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। তবে ৮৬ রান করে কর্ণ শর্মার বলে ফিরে যান শাহবাজ। বাংলা তখন শুরুর চাপ কাটিয়ে উঠেছে।
শাহবাজ সেঞ্চুরির সুযোগ নষ্ট করলেও হাল ছাড়েননি অনুষ্টুপ। ১৬১ বলে ১০৩ রান করে ক্রিজে রয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। সঙ্গী হিসাবে শেষে পেয়েছেন সুমন্ত গুপ্তকে। অবিচ্ছেদ্য সপ্তম উইকেটে ৭৮ রান যোগ করেছেন তাঁরা। সুমন্ত ৩৯ রান করে ক্রিজে। প্রথম দিনের শেষে ৮৫ ওভারে বাংলার স্কোর ২৭৩/৫।
কিন্তু শুরুতে এত মন্থর ব্যাটিং কেন? সুরাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বল শুরুর দিকে নড়াচড়া করছিল। তাই সতর্ক ছিলেন ব্যাটাররা। পাল্টা প্রশ্ন করা হল, প্রতিপক্ষ দলে তো আর স্বর্ণযুগের ক্যারিবিয়ান পেসাররা খেলছেন না, তাহলে কেন এত সমীহ? সদুত্তর নেই।
ইনিংসের শুরুতেই অনুষ্টুপ একবার জীবন পান। ব্যক্তিগত চার রানের মাথায় তিনি ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তবে বলটি নো হওয়ায় বেঁচে যান। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান ময়দানের রুকু। এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে আদিত্য পুরোহিতের। ইনিংস ওপেন করে মাত্র ৬ রানে আউট হন তিনি।




















