Bengal vs Haryana: ব্যাটিং ব্যর্থতার দিন হতাশ করলেন বাংলার বোলাররাও, মরণ-বাঁচন ম্যাচে কোণঠাসা বঙ্গ শিবির
Ranji Trophy: অলৌকিকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বরাবরই যিনি ইতিবাচক থাকতে পছন্দ করেন।

সন্দীপ সরকার, কল্যাণী: ব্যাটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন পারফরম্যান্স? নাকি বোলারদের প্রত্যাশাপূরণের ব্যর্থতা?
হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) মরণ-বাঁচন ম্যাচে কোণঠাসা বাংলা। কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে দ্বিতীয় দিনের শেষেই সরু সুতোয় ঝুলছে বাংলার নক আউট ভাগ্য। হরিয়ানা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৮/২ তুলে ফেলেছে। সব মিলিয়ে বাংলার চেয়ে এখনই ১৯০ রানে এগিয়ে। হাতে এখনও ৮ উইকেট। অলৌকিক কিছু না হলে এই ম্যাচ থেকে বাংলার ৬ পয়েন্ট পাওয়া দুষ্কর।
যদিও অলৌকিকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বরাবরই যিনি ইতিবাচক থাকতে পছন্দ করেন। শুক্রবার ম্যাচের শেষে মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, 'শনিবার সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম সেশনে ওদের বাকি ৮টা উইকেট তুলে নিতে হবে। ১৯০ রানের লিড রয়েছে হরিয়ানার। আর ৭০-৮০ রানের মধ্যে ওদের ফেলে দিতে পারলে সরাসরি ম্যাচ জেতার সুযোগ এখনও রয়েছে।'
যদিও প্রশ্ন হচ্ছে, বাকি ৮ উইকেট নেবেন কে? কীভাবে?
জাতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন মুকেশ কুমার। দেশে ফিরে বাংলার হয়ে রঞ্জি ম্যাচে নেমেছেন। যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে সময় কাটানো পেসার হরিয়ানার প্রথম ইনিংসে ১২ ওভার বল করে ৫২ রান খরচ করে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ ওভারে ৩২ রান খরচ করে নিয়েছেন ১ উইকেট। যে ম্যাচে সবুজ পিচে সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল, অনুজ থাকরালরা ইনিংসে ৬টি করে উইকেট তুলেছেন, সেখানে ভারতের হয়ে খেলা পেসারের পারফর্ম্যান্স দেখে বাংলা শিবিরও খুব সন্তুষ্ট বলে খবর নেই। বরং বলাবলি হচ্ছে, মুকেশের বলে সেই ধার কোথায়? দু-একবার ছাড়া ব্যাটারদের কোমরের ওপরে বল তুলতে পারছেন কই?
সূরয প্রথম ইনিংসে উজ্জ্বল ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ধার দেখা যাচ্ছে না। মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফকে দাদার ছায়াও বলা যাচ্ছে না এই ম্যাচের পারফরম্যান্সে। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন দলের প্রয়োজন, পিচে পেসারদের জন্য সহায়তা রয়েছে, ৯ ওভার উইকেটহীন মুকেশ। চতুর্থ পেসার রোহিত কুমারের কথা যত কম লেখা যায় ততই ভাল। দু'ইনিংস মিলিয়ে ১৭ ওভার বল করে কোনও উইকেট পাননি।
ব্যাটিংয়ের ছবিও তথৈবচ। একমাত্র অভিষেক ম্যাচে খেলতে নামা অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় ৭৭ বল খেললেন। আর কেউই ক্রিজে দাঁড়ানোর মরিয়া মনোভাব দেখালেন না। হরিয়ানার ১৫৭ রানের জবাবে বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ ১২৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে কত রান তাড়া করা সম্ভব?
বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার বললেন, 'এই মাঠে বঢোদরার বিরুদ্ধে ২৭০ তাড়া করে জিতেছিলাম। সাড়ে তিনশো রানও তাড়া করা সম্ভব।'
এখনও আশায় বুক বাঁধছেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন: বিয়ের ২১ বছর পর ঘর ভাঙছে বীরেন্দ্র সহবাগের! স্ত্রী আরতির সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে জোর জল্পনা
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
