BPL 11: প্রতিপক্ষের সাপোর্ট স্টাফদের দিকে তেড়ে গেলেন তামিম, রংপুর-বরিশালের ম্যাচ ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা
Tamim Iqbal: বরিশালকে বিপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার। রংপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষ দলের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় তামিমকে।
ঢাকা: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (Bangladesh Premier League)। সেই বিপিএলেই ধুন্ধুমার কাণ্ড, যার জেরে শিরোনামে তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ ঘিরেই বাঁধল গোল। রংপুরের কোচিং স্টাফদের দিকে তেড়ে গেলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)।
বরিশালকে বিপিএলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার। রংপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষ দলের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় তামিমকে। কে এই ঠিক ঝামেলার শুরুটা করেছিলেন, বা কী থেকে শুরু হয়েছিল ঝামেলা, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনওকিছু এখনও জানা যায়নি। তবে গরমা গরমি যে বেশ অনেক দূর পৌঁছয়, তা সাম্প্রতিক ভাইরাল ভিডিও দেখলেই বোঝা যায়। বরিশালের সাপোর্ট স্টাফরা কোনওভাবে তামিমকে আটকান।
Senior player Tamim Iqbal fighting with Nurul Hasan after he won the game for his team in today's match in Bpl. pic.twitter.com/fjxJxIx3TR
— Sports Spotlight (@SSpotlight71) January 9, 2025
ম্যাচের শেষবেলায় ৩০ রান তুলে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান দলকে জেতানোর পরেই দলের সঙ্গে জড়িত সাপোর্ট স্টাফরা উচ্ছ্বাসে ভাসেন। তখনই তামিমের সঙ্গে ঝামেলাও বাঁধে। শেষ ওভারে ফরচুন বরিশালের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিততে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কাইল মায়ের্সের সেই ওভারে ৩০ রান তুললেন নুরুল। হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের দলটি ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান বোর্ডে তুলে নেয়। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। নিজের ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনই। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ বলে ৪১ রান করেন।
বিশাল রানের লক্ষ্য়মাত্রা তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৬৬ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে প্রথমে রংপুরের দলকে টানেন ইফতিকার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। দুজনেই ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে তাঁর আগে দুজনে মিলে ৫৩ বলে ৯১ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত শেষ ৬ বলে ২৬ রান প্রয়োজন ছিল রংপুর দলের। বোলিংয়ে ছিলেন কাইল মায়ার্স। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু বল হাতে একাই ম্য়াচ হারিয়ে দিলেন শেষ ওভারে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নুরুল। পরের দুটো বলে পরপর বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে লেগসাইডে ছক্কা হাঁকান ফের। পঞ্চম বলে কভারের ওপর দিয়ে সুন্দর করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে একেবারে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। কিন্তু ছক্কা হাঁকিয়ে ম্য়াচ শেষ করেন নুরুল। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থেকে যান।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে নামবে রোহিত বাহিনী, প্রতিপক্ষ কারা?