IND vs ENG: ওভালে প্রথম ইনিংসে বড় রান আসেনি, তবুও টেস্টে সচিনকে টেক্কা রুটের
Joe Root: ৮৪ টেস্টে মোট ৭২২৪ রান করেছেন রুট ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমে। ঝুলিতে ২৩টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন ১৪৬ ইনিংসে।

লর্ডস: ইংল্য়ান্ড ব্যাটার জো রুট টেক্কা দিলেন সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar)। টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক এখন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়কই। কারণ সবার ওপরে রয়েছেন সচিন। তবে এবার ঘরের মাঠে কোনও ব্যাটারের মধ্য়ে টেস্ট রানের নিরিখে সচিনকে টেক্কা দিলেন জো রুট। ওভাল টেস্টে ব্যাটিং করতে নেমে এই নজির গড়েন রুট। ৪৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি ইংরেজ ব্যাটার। নিজের ইনিংসে ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। ৮৪ টেস্টে মোট ৭২২৪ রান করেছেন রুট ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমে। ঝুলিতে ২৩টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন ১৪৬ ইনিংসে। ৫৫.১৪ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ঘরের মাঠে রুটের সর্বোচ্চ রান ২৫৪।
সচিন তেন্ডুলকর ভারতে ৯৪ টেস্টে ৭২১৬ রান করেছেন। ৫২.৬৭ গড়ে ব্যাটিং করেছেন। ২২টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার দেশের মাটিতে। তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ভারতের ২১৭।
তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি ৯২ টেস্টে এখনও পর্য়ন্ত ৭৫৫৮ রান করেছেন এখনও পর্যন্ত। ৫৬.৯৭ গড়ে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ২৩টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ৩৮টি অর্ধশতরান করেছেন ১৫৪ ইনিংসে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বােচ্চ ২৫৭ রন করেছেন পন্টিং।
ভারত বনাম ইংল্যান্ডের পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে গোটা সিরিজ়ের মতোই টানটান লড়াই চলল। ব্যাট, বলের লড়াই সকলেরই নজর কেড়েছে। তবে ক্রিকেটের পাশাপাশি আরেকটি যে জিনিস নজর কেড়েছে, তা হল ক্রিকেটারদের হেডব্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো ক্রিকেটাররা হেডব্যান্ড পরেই বোলিং করতেন। তবে দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অলি পোপ থেকে অ্যাটকিনসন, জো রুট সকলেই এক বিশেষ হেডব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন। হেডব্যান্ডে ভাল করে লক্ষ করলে এক বিশেষ ধরনের লোগোও দেখা যাবে। কিন্তু কেন এই হেডব্যান্ড পরে রুটরা মাঠে নেমেছিলেন? আসলে শুক্রবার ইংল্যান্ড তথা ওভালে ক্রিকেট খেলা কাউন্টি দল সারের ক্রিকেটার গ্রাহাম থর্পের জন্মদিন ছিল। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
থর্প ইংল্যান্ডের হয়ে ১০০টি টেস্টের পাশাপাশি ৮২টি ওয়ান ডেও খেলেছেন। তবে গত বছরই মানসিক অবসাদে ভুগে তিনি আত্মহত্যা করেন। থর্প নিজেও ক্রিকেট খেলার সময় হেডব্যান্ড পরতেন। তাঁর স্মৃতি ও অবদানকে সম্মান জানিয়েই তাঁর পরিবারের সঙ্গে মিলিতভাবে ইংল্যান্ড এই হেডব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত নেয়।




















