IND vs AUS: দুরন্ত জয়ে সিরিজ়ে সমতায় ফিরল ভারত, ম্যাচ শেষে সুন্দর, অর্শদীপদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সূর্যকুমার
Washington Sundar: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

হোবার্ট: তিনি যখন ব্যাটে নেমেছিলেন তখন ১১১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে সেই চাপের কিছুই যেন ওয়াশিংটন সুন্দর অনুভব করছিলেন না। অন্তত সুন্দরের ব্যাটিংয়ে সেই চাপের লেশমাত্র দেখা যায়নি। একের পর এক বাউন্ডারির মারলেন তিনি। শেষমেশ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ (IND vs AUS) জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সুন্দর। ম্যাচশেষে তাঁর নামের পাশে লেখা অপরাজিত ৪৯। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সিরিজ়ে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলা জীতেশ শর্মাও। দুইজনে মিলে ৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
ম্যাচের পর এই ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া ওয়াশিংটন সুন্দর, জীতেশ শর্মাদের প্রশংসায় সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সূর্যকুমার বলেন, 'আজকে টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমার দলের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। দলের ছেলেপুলেরা অনুশীলনে দারুণ খাটাখাটনি করছিল এবং সুযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। ওয়াশিংটন দারুণ ব্যাট করেছে এবং জীতেশও ভাল অবদান দেয়। অর্শদীপ দুরন্ত বোলিং করে। বুমরা এবং ওর যুগলবন্দিটা একেবারে সঠিক ছিল। শুভমন এবং অভিষেকের মতোই ওরাও দুরন্ত জুটি। বুমরা চুপচাপ নিজের কাজ করে যায়, একদিকটা আটকে রাখে আর অপরদিক থেকে অর্শদীপ লাভ তোলে। ওরা দুরন্ত জুটি।'
এদিন ৩৫ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেওয়া ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় অর্শদীপ সিংহকেই। দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা নিজেকে সবসময়ই প্রস্তুত রেখেছিলেন বলেই জানান অর্শদীপ। ম্যাচের পর তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি নিজের খেলা নিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলাম। নিজের দক্ষতায় আস্থা রেখে পরিকল্পনাগুলি যাতে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি, তার অনুশীলন করছিলাম। সুযোগ পেলে দলের হয়ে অবদান রাখতে পেরে তো সবসময়ই ভাল লাগে।'
এক সময় ম্যাট শর্ট এবং মার্কাস স্টোইনিসের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অজ়িরা দু'শো রানের দিকে এগোচ্ছিল। তবে ৬৪ রানে ব্যাট করা মার্কাস স্টোইনিকে আউট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান অর্শদীপ। 'আমি নিঃসন্দেহেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে বোলিং করাটা উপভোগ করি। কেউ যদি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে, তাহলে তো তাঁকে আউট করারও সুযোগ থাকে। আর অপরদিকে বুমরার মতো একজন বোলিং করলে তো ব্যাটাররা আমার বিরুদ্ধেই বেশি করে আক্রমণ করতে যায় যার ফলে আমার ক্ষেত্রে উইকেট নেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।' জানান ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটশিকারী।




















