Ranji Trophy: ম্যাচ পিছনো নিয়ে সিএবি-র চিঠিতে কী জবাব বোর্ডের? রঞ্জি ট্রফি নিয়ে বড় আপডেট
Cyclone Dana: বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল 'দানা'। ওড়িশার ধামারা থেকে ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা।
কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল 'দানা' (Cyclone Dana)। ওড়িশার ধামারা থেকে ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ঘূর্ণিঝড়ের। দুর্যোগের আশঙ্কায় বাংলা-ওড়িশা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা সহ সমস্ত জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কলকাতার আকাশের মুখ ভার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশ কালো হয়ে রয়েছে। দিনের বেলাতেও সন্ধ্যার মতো অন্ধকার নেমে যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। আর সেই পরিস্থিতিতে কলকাতায় ও কল্যাণীতে রয়েছে বাংলার জোড়া বোর্ড ম্যাচ। সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বাংলার রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচ রয়েছে কেরলের বিরুদ্ধে। কল্যাণীতে রয়েছে বাংলা বনাম রেলওয়েজ অনূর্ধ্ব ২৩ ম্যাচ। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে যে দুই ম্যাচ হওয়া নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা। সিএবি-র তরফে দুই ম্যাচই পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বুধবার। সিএবি কর্তারা আশায় ছিলেন, বোর্ড রাজি হলে ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যাবে।
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জবাবে বিষণ্ণতা বঙ্গ ক্রিকেটে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বাংলা ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবি-কে জানিয়ে দিয়েছে, ম্যাচের সূচি পাল্টানো যাবে না। সেক্ষেত্রে পরের সব ম্যাচের সূচিতেই তার প্রভাব পড়বে। আর রঞ্জি ট্রফি এত বড় প্রতিযোগিতা যে, একটি ম্যাচের সূচি পাল্টাতে হলে গোটা টুর্নামেন্ট নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। যা কার্যত অসম্ভব বলেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবিপি আনন্দকে জানালেন, বোর্ডের জবাব চলে এসেছে। বললেন, 'বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে ম্যাচের সূচি পাল্টানো সম্ভব নয়।' আর তারপর থেকেই হতাশা বঙ্গ ক্রিকেট মহলে। বিশেষ করে রঞ্জি ট্রফি নিয়ে। আগের ম্যাচই পরিত্যক্ত হওয়ায় গ্রুপের দুর্বলতম দল বিহারের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয়েছিল বাংলাকে। শনিবার থেকে কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে দুর্যোগের কারণে অন্তত ২ দিনের খেলা নষ্ট হতে পারে। যার অর্থ, সরাসরি ফলের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অনুষ্টুপ মজুমদারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় দানা পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরে ১০০ থেকে ১২০, কলকাতায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা। ভয় ধরাচ্ছে বাঁধের পরিস্থিতি। প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে উপকূলবর্তী এলাকা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কন্ট্রোল রুম খুলেছে কলকাতা পুলিশ-পুরসভা। ক্রিকেট মাঠেও তার প্রভাব পড়তে চলেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।