AFG vs BAN: কিংবদন্তি লারাকে দেওয়া কথা রেখেছে দল, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্তে আবেগপ্রবণ রশিদ
T20 World Cup 2024: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার এইটে নিজেদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল এটা। জিতলেই সেমির টিকিট পাকা হবে, এই স্বপ্নে বুঁদ ছিল যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটা।
কিংস্টোন: তাঁর নেতৃত্বেই গোটা দলটা আজ থেকে বেশ কয়েক মাস আগে প্রথম স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। জোনাথন ট্রটের কোচিং, ডোয়েন ব্র্যাভোর মত ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া, সব কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল এই দেশের ক্রিকেটস্পন্দন রশিদ খানের নাম। যিনি শুধু এই দেশটার নয়, টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে বিশ্ব ক্রিকেটেরও এক বড় নাম। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার এইটে নিজেদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল এটা। জিতলেই সেমির টিকিট পাকা হবে, এই স্বপ্নে বুঁদ ছিল যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটা। অবশেষে শেষ হাসি হেসেছেন তারাই। উনিশতম ওভারে নবীন উল হকের শেষ বলটা মুস্তাফিজুরের প্যাড ছুঁতেই আম্পায়ার আঙুল তুললেন, আর গোট স্টেডিয়ামে তখন নীল জার্সিতে জোয়ার আসার উপক্রম। যার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন রশিদ খান। ম্য়াচের ফরে আফগানিস্তানের অধিনায়ক নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন।
রশিদ বলছেন, ''এটা সত্যি আমাদের কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত। টুর্নামেন্টটা আমরা দারুণভাবে শুরু করেছিলাম। বিশ্বাসটা প্রথম জন্মেছিল, যেদিন আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিলাম। এটা দুর্দান্ত অনুভূতি। মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দেশে সবাই ভীষণ খুশি হবে নিশ্চিতভাবে আমাদের এই পারফরম্য়ান্সের পর। একজনের কথা ভীষণভাবে বলতে হবে, তিনি হলেন ব্রায়ান লারা। তিনিই আমাদের একমাত্র শেষচারের পছন্দের চার দলের মধ্যে রেখেছিলেন। আজ আমরা বোধহয় তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারলাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমলা ওনাকে বলেছিলাম যে আপনার বিশ্বাস ভাঙব না আমরা। আজ উনি যে ঠিক ছিলেন, তা প্রমাণ করতে পারলাম আমরা।''
রশিদ আরও বলেন, ''আমার মনে হয়েছিল যে ১৫-২০ রান কম করেছি আমরা। এই উইকেটে ১২০-১৩৫ হয়ত ঠিকঠাক স্কোর হত প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে। কিন্তু আমরা মানসিকভাবে দৃঢ় ছিলাম। আমরা মাঠে লড়াইটা করে গিয়েছিলাম। ওটাই আমাদের হাতে ছিল। বৃষ্টি, ফলাফল কোনওটাই হাতে ছিল না আমাদের। দলের প্রত্যেকে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়েছে। আমি এই দলটার জন্য গর্বিত।''
দলের ব্যাটিং এই ম্য়াচে একেবারেই ভাল হয়নি। তবে বোলিং ডিপার্টমেন্টই যে দলের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিপার্টমেন্ট তা মনে করিয়ে দিলেন আফগান অধিনায়ক। রশিদ বলছেন, ''টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে বোলিং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন উন্নতমানের স্কিলফুল পেস বোলার আছে। তাদের মাথায় এটাই ছিল যে প্রতপক্ষের ১০ উইকেট তুলতে হবে।''