wriddhiman Saha Retirement: ২৮ বছরের সফর শেষ, পিচে বসে প্রণাম করলেন, সোশ্য়াল মিডিয়া আবগঘন পোস্ট ঋদ্ধিমানের
Wriddhiman Saha Social Media Post: বাংলা বনাম পাঞ্জাব ম্য়াচে বৃহস্পতিবার ১৩ ওভার উইকেটকিপিং করলেন ঋদ্ধিমান। দুটি ক্যাচও ধরলেন। একটি সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের বলে।

কলকাতা: ২৮ বছরের বর্ণময় ক্রিকেট কেরিয়ার। ১৯৯৭ সালে যে পথচলা শুরু হয়েছিল। সেই পথচলা শেষ হল ২০২৫ সালে। শিলিগুড়ির শক্তিগড় থেকে পথ চলা শুরু। জেলা, রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের জার্সিতে খেলেছেন। উইকেটের পেছনে অনবদ্য ছিলেন। বাংলার জার্সিতে শনিবার কেরিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলে মাঠ ছাড়লেন। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করলেন ঋদ্ধি। লম্বা চিঠিতে মনের কথা লিখলেন ঋদ্ধি। সেখানে ১৯৯৭ সালে ক্রিকেট শুরু করার সময় থেকে দেশের জার্সিতে একাধিক স্মরণীয় মুহূর্ত, বাংলার জার্সিতে ম্য়াচ জেতানো ইনিংস সবকিছুই উল্লেখ করলেন। স্ত্রী, দাদা, বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানান ঋদ্ধি। আলাদা করে উল্লেখ করেন নিজের ছোটবেলার কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের কথা। এছাড়াও বিসসিআই, টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, ফিজিও প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ময়দানের পাপালি।
সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে ঋদ্ধি লেখেন, ''আজ থেকে ২৮ বছর আগে ১৯৯৭ সালে আমার ক্রিকেটে পথচলা শুরু। এটা সত্যি আমার কাছে গর্বের যে আমি দেশের, রাজ্যে, ক্লাবের, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করেছি গত ২৮ বছর ধরে। আজ আমি যা কিছু সব কিছুই ক্রিকেটের জন্য।'' তিনি আরও লেখেন, ''এই সফরটায় অনেক ওঠাপড়া ছিল। অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত, অনেক আনন্দের মুহূর্ত আছে। কিন্তু সবকিছুর একটা শেষ হয়। আমারও হল। তাই অবসরের সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললাম।''
View this post on Instagram
বাংলা বনাম পাঞ্জাব ম্য়াচে বৃহস্পতিবার ১৩ ওভার উইকেটকিপিং করলেন ঋদ্ধিমান। দুটি ক্যাচও ধরলেন। একটি সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের বলে। একটি সুমিত মোহান্তর বলে। তারপর উইকেটকিপিং গ্লাভস তুলে দিলেন অভিষেকের হাতে। যেন আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যপাট তুলে দিলেন উত্তরসূরির হাতে।
যে গ্লাভস হাতে ভারতীয় দলের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন উইকেটের পিছনে। পুণেতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে উমেশ যাদবের বলে স্টিভ ও'কিফের ক্যাচ ধরে হয়ে উঠেছিলেন সুপারম্যান ঋদ্ধিম্যান। কেউ কেউ নাম দিয়েছিলেন ফ্লাইং সাহা। যে ক্যাচ বিশ্বক্রিকেটে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঋদ্ধির বিদায়ী ম্যাচ দেখতে মাঠে এসেছিলেন স্ত্রী রোমি। বলছিলেন, 'ও অবসরের ম্যাচ খেলতে নেমেও নির্বিকার। তবে আমি বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। এই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা হাতছাড়া করতে চাইনি। তাই মাঠে এসেছি।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
