(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
France vs England: পেনাল্টি নষ্ট হ্যারি কেনের, ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স
Fifa World Cup: দুই দেশের মহারণে শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স। ইংল্যান্ডকে- ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন কিলিয়ান এমবাপেরা। টুর্নামেন্টে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড শিবির।
দোহা: একদলকে বলা হচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সবচেয়ে বড় দাবিদার। অন্য দল টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী। এবং একমাত্র দল যারা কোনও ম্যাচ হারেনি।
দুই দেশের মহারণে শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স। ইংল্যান্ডকে- ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের (Fifa World Cup) সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন কিলিয়ান এমবাপেরা (France vs England)। টুর্নামেন্টে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড শিবির। ফের বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে ইংরেজ ফুটবলারদের। প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, বড় ম্যাচ এলেই কি তবে ইংল্যান্ডের জারিজুরি শেষ?
বলা হচ্ছিল, বিশ্বকাপের সেরা ম্যাচ হতে পারে এটাই। কিক অফের পর থেকে হতাশ হতে হয়নি ফুটবলপ্রেমীদের। দ্রুত গতিতে আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে উপভোগ্য ম্যাচ হয়। প্রথমার্ধে বরং কিছুটা চাপ তৈরি করেছিল ইংল্যান্ডই। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের কাছে বলের দখল ছিল বেশি। প্রায় ৫৮ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে শটও বেশি নিয়েছিল ইংল্যান্ডই। তবু শেষ রক্ষা হল না।
গোল করে এগিয়ে যায় ফ্রান্সই। ম্যাচের বয়স তখন ১৭ মিনিট। ইংল্যান্ড বক্সের বাইরে থেকে অবিশ্বাস্য শটে গোল করেন ফ্রান্সের চুয়ামেনি। এগিয়ে যান ফরাসিরা। গোল হজম করে ইংল্যান্ডের আক্রমণের ধার বাড়ে। কিন্তু পিছিয়ে ছিল না ফ্রান্সও। সবচেয়ে বড় কথা, এমবাপে-অলিভিয়ের জিহুদের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় ইংরেজ ডিফেন্ডারদের।
বিরতি পর্যন্ত ম্যাচ ১-০ ছিল। তবে খেলা রং পাল্টাতে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচে ৫২ মিনিটে নিজেদের বক্সে বোকায়ো সাকাকে কড়া ট্যাকল করেন ফ্রান্সের প্রথম গোলদাতা চুয়ামেনি। রেফারি পেনাল্টি দেন। ৫৪ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন। ইংল্যান্ড ম্যাচে সমতায় ফেরে। বিশ্বকাপে এই নিয়ে চারটি গোল তিনি করলেন পেনাল্টি থেকে। যে নজির আর কারও নেই।
তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। ৭৮ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের বক্সের ডানদিক থেকে ক্রস ভাসিয়ে দেন আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান। তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন জিহু। সকলের অলক্ষ্যে বক্সে ঢুকে পড়ে কার্যত বিদ্যুতের গতিতে হেড করে পিকফোর্ডকে হার মানা। ২-১ এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
তবে তার পরেই হার্নান্ডেস বক্সের মধ্যে ফাউল করেন মাউন্টকে। রেফারি ভার প্রযুক্তির সাহায্যে পেনাল্টি দেন। এই পেনাল্টিও মারতে যান কেন। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করেন। হ্যারি কেনের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। বাকি প্রায় ১৮ মিনিটে আর কোনও গোল হয়নি।
এই ম্য়াচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। সেখানে মরক্কোর বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ শেষ রোনাল্ডোর, পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিতে মরক্কো