Euro Cup 2024: নিজের সেরা ফর্মের ধারেকাছে নেই এমবাপে: দেশঁ
Kylian Mbappe: তার আগেই এমবাপেকে তুলে নেওয়া হয়। একেই ভাঙা নাক নিয়ে খেলছিলেন বেশ কয়েকটি ম্য়াচ। তার মধ্য়ে ছন্দে না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ।
মিউনিখ: পর্তুগালকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল (Portugal)। কিন্তু গোটা ম্য়াচে একদিকে যেমন নিষ্প্রভ লেগেছে রোনাল্ডোকে। তেমনই অন্য়দিকে একেবারেই ছন্দে মনে হয়নি কিলিয়ান এমবাপেকে। পুরো নব্বই মিনিট খেলতেও পারেননি তিনি। তার আগেই এমবাপেকে তুলে নেওয়া হয়। একেই ভাঙা নাক নিয়ে খেলছিলেন বেশ কয়েকটি ম্য়াচ। তার মধ্য়ে ছন্দে না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ। দল শেষ চারে জায়গা করে নিলেও ফরাসি কোচ মনে করছেন যে তাঁর দলের সেরা তারকা নিজের সেরা ফর্মের ধারেকাছে নেই এই মুহূর্তে।
পর্তুগালকে হারিয়ে ফ্রান্স সেমিতে পৌঁছানোর পর দেশঁ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ''এমবাপে সবসময় নিজের কাছে ও দলের কাছে সৎ থাকে। ও নিজেই আমাকে বলেছিল যে দলের জন্য সেরা পারফর্ম করতে পারছে না। তার জন্য নিজেকে তুলে নিতে চাইছিল। নিজোের সেরা ফর্মের ধারেকাছে দেখতে পাচ্ছিল না। তাছাড়া ভীষণ ক্লান্ত অনুভব করছিল এমবাপে।'' অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই এমবাপেকে তুলে নেন দেশঁ। সেই প্রসঙ্গে ফরাসি কোচ বলেন, ''ওই সময়টাতেই ক্লান্ত লাগছিল এমবাপেকে। ও নিজেও তা আমাকে বলেছিল।'' খেলার ১০৬ মিনিটের মাথায় বার্কোলাকে মাঠে নামান দেশঁ এমবাপের পরিবর্তে। চলতি টু্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত চার ম্য়াচ খেলেছেন এমবাপে। কিন্তু মাত্র একটি গোল করতে পেরেছেন।
শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্য়াচে প্রায় ৬০ শতাংশ বল পজিশন ছিল রোনল্ডাের পর্তুগালের। কিন্তু ৪০ শতাংশ বল পজিশন ছিল ফ্রান্সের। অথচ পেনাল্টিতে জোয়াও ফেলিক্সের গোল মিস হওয়ার খেসারত দিতে হয় পর্তুগালকে। ইউরোর কোর্টার থেকেই ছিটকে যেতে হয় রোনাল্ডোদের। তার আগে স্পেন জার্মানিকে হারিয়ে দিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছিল।
এদিকে, শনিবার আরেক কোয়াার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড হারিয়ে দেয় স্যুইৎজারল্যান্ডকে। ১২০ মিনিটের লড়াই শেষে ২ দলই ১-১ শেষ করেছিল খেলা। তাই সেখান থেকে পেনাল্টিতে খেলা গড়ায়। গতকাল টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে গিয়েছিল পর্তুগাল। আজও ঠিক তেমনই ফল হল। ইংল্যান্ড ৫-৩ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল কোয়ার্টারের লড়াইয়ে। এদিন খেলার শুরু থেকেই দু দলই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছিল। কিন্তু বল দখলের লড়াইয়ে ইংল্যান্ড কিছুটা এগিয়ে ছিল সুইসদের তুলনায়। টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ হাসি হাসে গ্যারেথ সাউথগেটের দলই।