ISL: আইএসএলে ক্লিনশিট ধরে রাখার লড়াই সবুজ মেরুন ব্রিগেডের
Mohun Bagan Supergiant: রক্ষণে কোথায় কী গলদ হচ্ছে, তা শুধরে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের গোল অক্ষত রাখতে পারেন কি না অলড্রেডরা, তা তো ম্যাচেই বোঝা যাবে।
কলকাতা: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চলতি মরশুমের শুরুর দিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পারফরম্যান্সের কথা মনে করে দেখুন, প্রথম তিন ম্যাচে সাত-সাতটি গোল খেয়েছিল তারা। সেই তিন ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতছিল তারা। একটিতে ড্র ও একটিতে হারে তারা। তার পর থেকে দশটি ম্যাচের ফলের দিকে চোখ বোলালে দেখা যাবে, এই দশ ম্যাচে ছ’টি গোল হজম করেছে তারা, যার মধ্যে পাঁচটিই গত তিন ম্যাচে। অর্থাৎ, তার আগের সাতটি ম্যাচে সবুজ-মেরুন বাহিনী মাত্র এক গোল হজম করেছে। তা হলে কি মোহনবাগানের তথাকথিত দুর্ভেদ্য রক্ষণে চিড় ধরানোর উপায় বের করে ফেলেছে তাদের প্রতিপক্ষরা?
আধুনিক ফুটবল পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করে তাদের শক্তি-দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলি কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা প্রতি ম্যাচের আগে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন প্রত্যেক দলের কোচ ও তাঁর কোচিং দলের সহকারীরা। তাই কোনও দলই নিজেদের কৌশল, পরিকল্পনা বেশিদিন গোপন রাখতে পারে না। তাদের দু-তিনটি ম্যাচ অন্তর নতুন কৌশল, নয়া পরিকল্পনা, ট্যাকটিক্স তৈরি করতে হয়। না হলেই ‘প্রেডিক্টেবল’ হয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, যা মোটেই সেই দলের পক্ষে খুব একটা মঙ্গলকর নয়। মোহনবাগানের সাফল্যের রহস্য কি তা হলে ফাঁস হয়ে গিয়েছে?
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ১-২-এ পিছিয়ে ছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। ৮৬ মিনিটের মাথায় সমাতা আনেন জেসন কামিংস ও সংযুক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে দুরন্ত জয়সূচক গোল করে দলকে জেতান স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক আলবার্তো রড্রিগেজ। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দুই অর্ধেই একটি করে গোল খায় মোহনবাগান। ৫৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দিমিত্রিয়স পেট্রাটস সমতা আনলেও আর গোল করতে পারেনি তারা। ২০২৩-এর শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে ১২ মিনিটের মাথায় গোল খায় গতবারের শিল্ডজয়ীরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রড্রিগেজের দু’টি ও জেমি ম্যাকলারেনের দেওয়া গোলে জয়ে ফেরে তারা।
শেষ তিন ম্যাচে পাঁচ গোল খাওয়ায় যে তাঁরা কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন, তা স্বীকার করে স্কটিশ সেন্টার ব্যাক টন অলড্রেড বলেন, ''গোল অক্ষত রাখাই প্রতি ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য থাকে। কিন্তু গত তিন ম্যাচে তা না হওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন তো বটেই। আমাদের আবার ক্লিন শিট বজায় রাখতে হবে। ডিফেন্ডারদের কাজই হল গোল না খাওয়া। গোল করার দিকে তো ফোকাস করতেই হবে। তবে গোল না খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। এ পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচে আমরা তা করতে পেরেছি। ক্লিন শিটের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। সে জন্য আমাদের রক্ষণের শক্তি বজায় রাখতে হবে। কালও সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব আমরা।''
রক্ষণে কোথায় কী গলদ হচ্ছে, তা শুধরে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের গোল অক্ষত রাখতে পারেন কি না অলড্রেডরা, তা তো ম্যাচেই বোঝা যাবে। তবে সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডারদের গোল পাওয়াটা যে দলের পক্ষে বড় বোনাস, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ পর্যন্ত মোহনবাগানের ২৬টি গোলের মধ্যে ন’টিই করেছেন ডিফেন্ডাররা। পাঁচ গোল করে জেমি ম্যাকলারেন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তাঁর পরেই দু’নম্বরে আলবার্তো রড্রিগেজ, যিনি চার গোল করে ফেলেছেন। শুভাশিস বোস তিনটি, দীপেন্দু বিশ্বাস ও অলড্রেড একটি করে গোল করেছেন। তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল