IND vs AFG Match Highlights: রশিদদের বোলিং নিয়ে তুলোধনা করে সেঞ্চুরি রোহিতের, বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় ভারতের
IND vs AFG ODI World Cup 2023: লক্ষ্য ছিল ২৭৩। আগের ম্য়াচে ওপেনিং জুটি ফ্লপ করেছিল। গিল না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রোহিত-ঈশান জুটি।
নয়াদিল্লি: আফগানস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ভারতের। ২৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়কোচিত শতরান হাঁকিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন রোহিত শর্মা। একাই ১৩১ রানের ইনিংস খেললেন। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও অর্ধশতরান হাঁকালেন বিরাট কোহলি। এই ম্যাচ জয়ের ফলে পরপর ২ ম্যাচে বিশ্বকাপে জয় পেল ভারতীয় দল।
লক্ষ্য ছিল ২৭৩। আগের ম্য়াচে ওপেনিং জুটি ফ্লপ করেছিল। গিল না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রোহিত-ঈশান জুটি। এই জুটিই সেদিন ব্য়র্থ হলেও এদিন ওপেনিং পার্টনারশিপে ১৫৬ রান তোলে ভারত। ঈশান ৪৭ রানে ফিরে গেলেও রোহিতকে থামাতে পারেননি আফগান বোলাররা। বিধ্বংসী মেজাজে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাট করে মাত্র ৬৩ বলে শতরান পূরণ করেন ভারত অধিনায়ক। প্রথমে মাত্র ৩০ বলে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরান হাঁকানোর নজির গড়েন রোহিত। ওপেনারদের মধ্যে সর্বাধিক ৪৫টি শতরান হাঁকিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন রোহিত ২৯টি শতরান হাঁকিয়ে। ঈশান কিষাণ ৪৭ রান করে ফিরে যান রশিদের বলে ক্যাচ আউট হয়ে। এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারত অধিনায়ক। শেষ পর্য়ন্ত ৮৪ বলে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রোহিত। ১৬টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রোহিত ফিরে গেলে বিরাট শ্রেয়সকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৩৫ ওভারেই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন কিং কোহলি।
বুধবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে খেলা রহমানুল্লাহ গুরবাজ় ও ইব্রাহিম জাদ্রান শুরুটা খারাপ করেননি। ২৮ বলে ২১ রান করেন গুরবাজ়। ২৮ বলে ২২ রান করেন ইব্রাহিম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন বুমরা। গুরবাজ়কে তুলে নেন বার্থ ডে বয় হার্দিক পাণ্ড্য। শার্দুলের বলে ফেরেন রহমত। একটা সময় ১৩.১ ওভারে ৬৩/৩ হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান।
সেখান থেকে প্রত্যাঘাত হাশমাতুল্লাহ ও আজ়মাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে ১২১ রান যোগ করেন দুজনে। ৬২ রান করে ফেরেন ওমরজাই। হাশমাতুল্লাহ ৮০ রান করে কুলদীপ যাদবের শিকার। আফগানিস্তানের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপের মঞ্চে হাফসেঞ্চুরি করলেন হাশমাতুল্লাহ।
তবু আফগানিস্তান ইনিংসকে যে ২৭২/৮ স্কোরে বেঁধে ফেলা গেল, তার জন্য সিংহভাগ কৃতিত্ব প্রাপ্য যশপ্রীত বুমরার। একটা সময় বিশ্বকাপে যাঁর খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল। পিঠের অস্ত্রোপচার। তারপর দীর্ঘদিনের রিহ্যাবিলিটেশন। বিশ্বকাপের মাস খানেক আগে আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটান আমদাবাদের পেসার।