(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ইনজামাম
দায়িত্বে এবার নতুন কেউ আসুক এবং পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন দিশা দেখাক, এমনটাই চাইছেন ইঞ্জামাম উল হক।
করাচি: বিশ্বকাপে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হতশ্রী হার, ভারতের বিরুদ্ধে পরাজয়, সবমিলিয়ে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাক দলের পারফর্ম্যান্সে হতাশ সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড এবং প্রাক্তনীরা। যদিও শেষের দিকে পরপর ম্যাচ জিতে শেষ চারে যাওয়ার একটা ক্ষীণ আশা পাকিস্তান তৈরি করেছিল বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সেমিতে পৌঁছনো হয়নি। রান রেটের জটিল অঙ্কে সেমিতে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড এবং ঘটনাচক্রে তাঁরাই এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়।
দল সেমি ফাইনালের রাস্তা পাকা করতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই সমালোচিত হয়েছেন পাক ক্রিকেটাররা। পাক সংবাদমাধ্যমের নিশানায় ছিলেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। একই সঙ্গে প্রাক্তনীদের ক্রোধের কারণও হয়েছেন তিনিই। প্রশ্ন উঠেছে সরফরাজের নেতৃত্ব নিয়েও। এখানেই শেষ নয়, পাক মিডিয়া ও প্রাক্তনীদের একাংশ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল নির্বাচন নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। বর্ষীয়ান ক্রিকেটার তথা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগও তুলেছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে তিন বছর প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নির্বাহ করার পর সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ইনজামাম। লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই বোর্ডের চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন করে চুক্তি নবীকরণ করবেন না। এই দায়িত্বে এবার নতুন কেউ আসুক এবং পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুন দিশা দেখাক, এমনটাই চাইছেন ইনজামাম।
"I believe it is the right time for Pakistan Cricket Board to appoint a new chief selector who can bring in new ideas and fresh thinking."
Pakistan will be seeking a new chief selector with Inzamam-ul-Haq leaving his role.https://t.co/cHGKLAtrtt — ICC (@ICC) July 17, 2019
তিনি জানিয়েছেন, “তিন বছর প্রধান নির্বাচক থাকার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর চুক্তি নবীকরণ করব না। আমি বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খানের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে এই পদে নতুন নির্বাচককে বসানোর এটাই সঠিক সময়। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটকে নতুনভাবে দিশা দেখাতে পারবেন বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।” একই সঙ্গে ১২০টি টেস্ট খেলা এই মহাতারকা জানিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য তিনি অন্য কোনও দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত।