ABP Exclusive: বোর্ডের কথায় অস্ত্রোপচার নয়, আইপিএল খেলতে মরিয়া শ্রেয়সের আস্থা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়!
IPL Exclusive: মাঠে নামতে মরিয়া মুম্বইয়ের তারকা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করিয়ে ব্যথা উপশমের চেষ্টা করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।
কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, অস্ত্রোপচার জরুরি। এমনকী, বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) মেডিক্যাল টিমও জানিয়ে দিয়েছে, অস্ত্রোপচার করিয়ে নেওয়া উচিত।
কিন্তু বোর্ডের পরামর্শ না-ও মানতে পারেন শ্রেয়স আইয়ার। মাঠে নামতে মরিয়া মুম্বইয়ের তারকা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করিয়ে ব্যথা উপশমের চেষ্টা করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।
যে খবর শুনলে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির উৎফুল্ল হতে পারে। কারণ, আইপিএলের আগে শ্রেয়সকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে প্রবল উৎকণ্ঠায় রয়েছে কেকেআর। বুধ ও বৃহস্পতি, দুদিন ইডেন গার্ডেন্সে অনুশীলনের পর শুক্রবার ক্রিকেটারদের নেট সেশন থেকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কেকেআরের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। পরিবর্তে জিম সেশন রাখা হয়েছিল টিম হোটেলেই। নাইট শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, শ্রেয়সকে নিয়ে চর্চা চলছে জোরকদমে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে শ্রেয়সের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। কেকেআর শিবিরও মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে শোনা গেল, শনিবার অধিনায়ককে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আইপিএলে কেকেআরের প্রথম ম্যাচ ১ এপ্রিল। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস। যে ম্যাচ খেলতে ২৯ মার্চ চণ্ডীগড়ের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়বেন কেকেআর ক্রিকেটারেরা। অর্থাৎ, হাতে আর মাত্র দিন চারেক সময়। কেকেআরে শ্রেয়সের বিকল্প অধিনায়ক কে হতে পারেন, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তুঙ্গে জল্পনা।
যদিও সব অঙ্ক ঘেঁটে দিয়ে শ্রেয়স আইপিএলে মাঠে নেমে পড়তে পারেন। মুম্বইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বোর্ড বা এনসিএ থেকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হলেও শ্রেয়স এখনই সেই রাস্তায় হাঁটছেন না। কারণ, পিঠের অস্ত্রোপচার করালে অন্তত পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে শ্রেয়সকে। সেক্ষেত্রে আইপিএল তো বটেই, অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও হয়তো থাকবেন না শ্রেয়স।
আর আইপিএল ও বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া শ্রেয়স বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন বলে খবর। জানা গেল, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানোর পথে শ্রেয়স। আপাতত সেভাবেই পিঠের ব্যথার নিরাময় করতে চাইছেন। যাতে অন্তত মাঠ থেকে দূরে থাকতে না হয়।
আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। নাইট শিবিরও হয়তো দিন দুয়েকের মধ্যেই জানিয়ে দেবে, শ্রেয়সকেই অধিনায়ক রাখা হবে, নাকি তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তৃতীয় একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে। আর সেটা হল, শ্রেয়সের ব্যথা কমার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করা হল। প্রথম দুই ম্যাচের জন্য অস্থায়ীভাবে কাউকে নেতৃত্বেক দায়িত্ব দিল কেকেআর। তাতে শ্রেয়সও বাড়তি সময় পেলেন সেরে ওঠার। তারপর তিনি ফিরলেন নাইট শিবিরে।
শ্রেয়সের দিক থেকে বার্তা পেলে তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে কেকেআর।