PBKS on coronavirus: ভারতের করোনা যুদ্ধে মাইনের একাংশ দিচ্ছেন পুরান, সাহায্য় প্রীতির দলেরও
দেশের করোনা চিত্র বলছে, রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
নয়াদিল্লি: পথ দেখিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। ভারতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা পিএম কেয়ার্স ফান্ডে দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অস্ট্রেলীয় তারকা। তারপর ব্রেট লি, শেলডন জ্যাকসন, শ্রীবৎস গোস্বামী বা দল হিসাবে রাজস্থান রয়্যালস করোনা যুদ্ধে অর্থ সাহায্য করেছে। এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আরও এক বিদেশি। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান। পঞ্জাব কিংসের তারকা জানিয়েছেন, আইপিএল খেলে তিনি যে টাকা পাচ্ছেন, তার একটা অংশ দান করবেন ভারতের করোনা যুদ্ধে।
আইপিএলের নিলামে পুরানের বেসপ্রাইস বা ন্যূনতম দর ছিল ৭৫ লক্ষ টাকা। তাঁকে নিয়ে দর কষাকষি করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও পঞ্জাব কিংস। শেষ পর্যন্ত ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে দলে নেয় পঞ্জাব। সেই অর্থ থেকেই একটা অংশ ভারতের করোনা যুদ্ধে দান করবেন বলে জানিয়েছেন পুরান।
পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবও। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ক্রয়ের জন্য অর্থ অনুদান দিচ্ছে পঞ্জাব কিংস।
কোভিড সঙ্কটে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরও। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনতে এক কোটি টাকা দান করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ২১ দিনের আইসোলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়েছেন তিনি।
দেশের করোনা চিত্র বলছে, রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কোভিড রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশের এই পরিস্থিতিতে কোভিড রোগীদের জন্য সচিনের উদ্যোগ কাজে আসবে। বৃহস্পতিবার 'মিশন অক্সিজেন' নামের একটি তহবিলে দান করেন মাস্টার ব্লাস্টার। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিপদের সময় সচিনের এই প্রচেষ্টায় কোভিড রোগীরা উপকৃত হবেন।
ভারতের করোনা যুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি টাকা দান করেছে সঞ্জু স্যামসন-ক্রিস মরিসদের দল রাজস্থান রয়্যালস। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক নয়, ক্রিকেটারেরাও সকলে মিলে যাকে বলে একেবারে চাঁদা তুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকলেও অতিমারির মোকাবিলায় তারাই প্রথম।