KKR vs LSG Match Highlights: শাহরুখের সামনে কেকেআরের শাপমুক্তি, লখনউকে দুরমুশ করে মহার্ঘ ২ পয়েন্ট
IPL 2024: নববর্ষ আর কিংগ খানের উপস্থিতিতে আইপিএলে জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২৬ বল বাকি থাকতে কার্যত একপেশেভাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল কেকেআর।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কেউ কেউ বলছেন, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। কেউ বলছেন লবণাক্ত ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens)। রবিবার সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন্সের আনাচ কানাচে এমনই বাক্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
কেন আচমকা নুনের ছিটে? সল্ট লেককে অনেকে বাংলা তর্জমা করে লবণহ্রদ বলে থাকেন। কিন্তু সে গঙ্গাপাড়ের ইডেনে চলে আসতে পারে কীভাবে?
ভুল ভাঙবে ইডেনের জায়ান্ট স্ক্রিনে স্কোরকার্ডের দিকে চোখ পড়লে। বোঝা যাবে নুনের ছিটে বা লবণাক্ত ব্যাখ্যার মর্মার্থও। ৪৭ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত ফিল সল্ট। তাই তো! সল্ট পদবির বাংলা করলে তো দাঁড়ায় নুন! সঙ্গে ৩৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত শ্রেয়স আইয়ার। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৫.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২৬ বল বাকি থাকতে। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। যা তাদের শুধু আট পয়েন্টেই পৌঁছে দিল না, রান রেটকেও পর্বতশৃঙ্গে তুলে দিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১০৬ রানে জেতার পর যা এমনিতেই উত্তুঙ্গ ছিল।
নববর্ষ আর কিংগ খানের উপস্থিতিতে আইপিএলে জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২৬ বল বাকি থাকতে কার্যত একপেশেভাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল কেকেআর। সঙ্গে হল শাপমুক্তিও। আইপিএলে এই প্রথম লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল কেকেআর। এর আগে তিনবারের সাক্ষাতে তিনবারই কেকেআরকে হারিয়েছিল লখনউ। যারা আবার ইডেনে নামে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে। মোহনবাগানের আবেগ উস্কে। লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট - দুই দলেরই যে মালিক একই! সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
তবে রবিবার ইডেনে সব আবেগ বিসর্জন হল গঙ্গায়। কেকেআরের দাপুটে পারফরম্যান্সে খেই পেল না লখনউ। ম্যাচের প্রথমার্ধে ছিল নাইট বোলারদের দাপট। আইপিএলের সবচেয়ে দামি বোলার মিচেল স্টার্ক এতদিনে যেন নিজের প্রাপ্য মূল্যের যৌক্তিকতা বোঝালেন। ২৮ রানে নিলেন তিন উইকেট। বলে পুরনো ধার ফিরল সুনীল নারাইনেরও। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে নিলেন এক উইকেট। একমাত্র নিকোলাস পুরান (৪৫ রান) ও কে এল রাহুল (৩৯ রান) ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান পাননি। ১৬১/৭ স্কোরে আটকে যায় লখনউ।
কেকেআরের হয়ে জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন নারাইন (৬)। রান পাননি অঙ্গকৃষ রঘুবংশীও (৭)। তবে ৪২/২ হয়ে যাওয়ার পরে অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে সল্ট ও শ্রেয়স ৭৬ বলে ১২০ রান যোগ করে ম্যাচের রং পাল্টে দিলেন। সল্টের ক্যাচও পড়েছে। ৩১ রানে থাকাকালীন তাঁর ক্যাচ ফেলে ছক্কা করে দেন আর্শাদ খান। ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় সেই সুযোগ কাজে লাগালেন ইংরেজ তারকা।
নববর্ষের ইডেন থেকে একরাশ স্বস্তি নিয়েই বাইপাসের ধারে টিমহোটেলের দিকে রওনা দিলেন বাজিগর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।