IPL Qualifier 2: নাগাড়ে দ্বিতীয়বার আইপিএল ট্রফি জয়ের হাতছানি, অনবদ্য ইনিংসে পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুললেন শ্রেয়স
Mumbai Indians vs Punjab Kings: চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়স আইয়ার ও নেহাল ওয়াধেরা ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পঞ্জাবকে জেতান।

আমদাবাদ: লক্ষ্য ছিল ২০৪ রান। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এই রান তাড়া করে জেতাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে নক আউট ম্যাচের নিরিখে এই রানটা অনেকটাই। সেই লক্ষ্যে শুরুটা একেবারেই ভাল করতে পারেনি পঞ্জাব কিংস। ওপেনার প্রভসিমরন সিংহ মাত্র ছয় রানে আউট হন। তবে তিনে জস ইংলিস ব্যাটিংয়ে নেমে মতান্তরে বিশ্বের সেরা বোলার যশপ্রীত বুমরার বিরুদ্ধে ঝড় তোলেন। ২০ রান উঠে বুমরার প্রথম ওভারে। পাওয়ার প্লেতেই ৬৪ রান তুলে ফেলে পঞ্জাব। তবে আরেক ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।
জস ইংলিসকে যখন ৩৮ রানে হার্দিক পাণ্ড্য সাজঘরে ফেরান, তখন পঞ্জাবের স্কোর ৭২ রান। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ম্যাচে খানিকটা এগিয়ে রেখেছিলেন। তবে শ্রেয়স আইয়ার প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে উঁচু মানের ক্রিকেটার হিসাবে গণ্য করা হয়। গতবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক এক যুগ পরে পঞ্জাবকে প্লে-অফে তুলে সকলের নজর তো কেড়েইছেন। এই ম্যাচে আজকে নজর কাড়লেন নিজের পরিপক্ক ব্যাটিংয়ে।
নেহাল ওয়াধেরাকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালান শ্রেয়স। দুই তারকাই একের পর এক যা শট মারছিলেন, তাতে চোখ সরানো দায়। ওয়াধেরা অবশ্য অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। ঠিক পরের ওভারেই শশাঙ্ক দুই রানে রান আউট হওয়ায় ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। তবে শ্রেয়স ক্রিজে টিকে থাকেন। ২৭ বলে দুরন্ত হাফসেঞ্চরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে পাঁচ উইকেটে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন শ্রেয়স।
এলিমিনেটরের মতো এদিনও শুরুতেই রোহিতের ক্যাচ পড়েছিল। এলিমিনেটরে দুবার প্রাণ পেয়ে ৫০ বলে ৮১ রান করে গুজরাত শিবিরে আঁধার নামিয়েছিলেন হিটম্যান। রবিবার অবশ্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। মাত্র ৮ রান করে ফেরেন। আর একের পর এক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন সূর্যকুমার যাদব। কেন তিনি জাতীয় টি-২০ দলের অধিনায়ক, ফের একবার দেখিয়ে দিলেন। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রান করলেন স্কাই। গড়ে ফেললেন রেকর্ডও। চলতি আইপিএলে সাতশো রান হয়ে গেল তাঁর। যা রেকর্ড। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোনও ব্যাটার এর আগে এক আইপিএলে এত রান করেননি। ১৬ ম্যাচে ৭১৭ রান হয়ে গেল তাঁর।
সূর্যর রেকর্ড গড়ার রাতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন তরুণ তিলক বর্মাও। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বলে করলেন ৪৪ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪২ বলে ৭২ রান যোগ করে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিলেন স্কাই ও তিলক। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১৮ বলে ৩৭ রান করে গেলেন নমন ধীর। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা তোলে ২০৩/৬। তবে তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
১১ বছর আইপিএল ফাইনালে পৌঁছল পঞ্জাব কিংস। গতবার কেকেআরের অধিনায়ক হিসাবে খেতাব জিতেছিলেন, মঙ্গলবার পঞ্জাবের সঙ্গে ফের একবার ট্রফি তোলার সুযোগ শ্রেয়স আইয়ারের সামনে।




















