বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ড্যারেন স্যামির অভিযোগের সত্যতা রয়েছে, বলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইশান্ত শর্মার পুরনো পোস্ট

২০১৩ ও ২০১৪ মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন স্যামি। তাঁর দাবি, সতীর্থরা তাঁকে ‘কালু’ বলে ডাকতেন।

ছবি সৌজন্যে ইনস্টাগ্রাম

নয়াদিল্লি: আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সময় সতীর্থরা তাঁর উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করতেন বলে যে অভিযোগ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের পেসার ইশান্ত শর্মার একটি পুরনো পোস্টে সেই অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইশান্তের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলের সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমার, স্যামি ও দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার ডেইল স্টেইন। এই ছবির সঙ্গে ইশান্ত লেখেন, ‘আমি, ভুবি, কালু ও গান সানরাইজার্স।’ ২০১৩ ও ২০১৪ মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন স্যামি। তাঁর দাবি, সতীর্থরা তাঁকে ‘কালু’ বলে ডাকতেন। সেই সময় অন্যরা সে কথা শুনে হাসতেন। তিনি সেই সময় এই কথার অর্থ জানতেন না। তাঁর মনে হত, দলের মনোবল বাড়ানোর জন্যই ওই শব্দটি বলা হত। কিন্তু এখন তিনি শব্দটির অর্থ জানতে পেরেছেন। যাঁরা তাঁকে ‘কালু’ বলতেন, তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেছেন স্যামি।

View this post on Instagram

Me, bhuvi, kaluu and gun sunrisers

A post shared by Ishant Sharma (@ishant.sharma29) on May 14, 2014 at 9:18am PDT

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই প্রাক্তন অধিনায়ক লিখেছেন, ‘আমি হাসান মিনহাজের কথা শুনছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন, কিছু সংস্কৃতিতে কীভাবে কালো মানুষদের বর্ণনা করা হয়। সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এটা জানি। তিনি শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যা করেন। সেটা শুনে আমি রেগে যাই। ভাল অর্থে শব্দটি ব্যবহার করা হত না। শব্দটি অবমাননাকর। আমি সবসময় দলের ভাল করার কথা ভেবেছি। কোনওদিন দলকে ডুবিয়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। যারা আমাকে সেই শব্দটি বলত, তারা নিজেরা সেটা জানে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের কাছে আমার ফোন নম্বর আছে। বাকিদের কাছে ইনস্টাগ্রাম ও ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট আছে। এ বিষয়ে আলোচনা হোক। মিনহাজ যেটা বলেছে সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি হতাশ। আমি ক্ষুব্ধ এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ওরা আমার সঙ্গে কথা বলুক।’