Mohun Bagan SG: ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলপ্রেমী বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দেন শুভাশিস!
ISL 2023-24: তারকা ডিফেন্ডার সবুজ-মেরুন শিবিরের হয়ে আইএসএলে কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, ডুরান্ড কাপেও সেরার খেতাব জিতেছেন। ভারতীয় দলের হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও খেতাব অর্জন করেছেন।
কলকাতা: দীর্ঘ ফুটবল জীবনে যেমন দেশের একাধিক নামী ক্লাবের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছেন, তেমনই ভারতীয় দলেরও নিয়মিত সদস্য তিনি। শুভাশিস বসু (Subhasish Bose)। দেশের হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলা শুভাশিস ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মুম্বই সিটি এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলার পর এখন তাঁর ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (MBSG)। তারকা ডিফেন্ডার সবুজ-মেরুন শিবিরের হয়ে আইএসএলে কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, ডুরান্ড কাপেও সেরার খেতাব জিতেছেন। ভারতীয় দলের হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও খেতাব অর্জন করেছেন।
শুভাশিস বলেছেন, “আইএসএল এ দেশের তরুণ প্রজন্মকে বুঝিয়েছে যে, ফুটবলকেও পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন ফুটবল ছিল আমাদের নেশা। ফুটবলকেই পেশা হিসেবে নেব কি না, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু আইএসএল এখনকার প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তারা পেশাদার ফুটবলার হতে চাইছে। প্রিয় ক্লাবের হয়ে এবং দেশের হয়ে খেলারও স্বপ্ন দেখছে তারা।”
ছোট থেকেই মোহনবাগানপ্রেমী। শুভাশিস বলেছেন, “এই ক্লাবের সমর্থকেরা এ দেশের মধ্যে সেরা। ওদের জন্যই মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নামতে এত পছন্দ করি। গত মরশুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে আইএসএল ট্রফি জেতা আমার ফুটবল জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা। কয়েক বছর ধরে মরিয়া চেষ্টার পর ওই ট্রফিটা হাতে তুলতে পেরেছিলাম আমরা। সেই জন্যই ওটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ভারতের সেরা গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ সাঁধুর বিরুদ্ধে গোল করা— এটাও কম স্মরণীয় নয়। মোহনবাগান জনতার সামনে খেলার মুহূর্তগুলো খুব উপভোগ করি আমি। যখন ম্যাচের ৭০-৮০ মিনিট পরে ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন ওদের চিৎকারে আরও শক্তি পেয়ে যাই এবং উজ্জীবিত হয়ে আরও ভাল ফুটবল খেলি।”
ডার্বি প্রসঙ্গে শুভাশিস বলেছেন, “ছোটবেলা থেকে ডার্বির দিন বা তার আগে পরে আমার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা বন্ধ করে দিতাম। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমি মনে করি, এই ধরনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো একটা দেশের ফুটবলকে বেড়ে উঠতে খুব সাহায্য করে। তবে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা ম্যাচের ৯০ মিনিট, মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাই ভাল। আমার ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক বন্ধুদের সঙ্গেও আমার সম্পর্কটা সে রকমই। খেলার সময় আমাদের শত্রুতা। বাকি সময়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে বেড়াতে যাই, খাওয়াদাওয়া করি, আনন্দ করি।”
শুভাশিস মনে করেন, ভারতীয়রা ক্রমশ দেশের ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছেন। তাঁর মতে, “ভারতীয় ফুটবলের ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আগে লোকে শুধু ইউরোপিয়ান ফুটবল দেখত, বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। কিন্তু এখন অনেকেই ভারতীয় ফুটবলও নিয়মিত দেখেন। আর মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যই তো কলকাতাকে ভারতীয় ফুটবলের মক্কা বলা হয়।”
আরও পড়ুন: লিফটে আটকে আম্পায়ার, বন্ধ থাকল ম্যাচ! বক্সিং ডে টেস্টে অভূতপূর্ব ঘটনা