Manoj Tiwary: 'শেষ দুবার ফাইনালে হেরে কেঁদেছিলাম,' রঞ্জি ট্রফিতে নতুন প্রজন্মে লগ্নি মনোজের
BCCI Domestic: মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে উড়ে যাচ্ছে বাংলা দল। তার আগে কলকাতায় বাংলা দলের প্র্যাক্টিসের ফাঁকে এবিপি আনন্দকে দীর্ঘ, একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন মনোজ তিওয়ারি।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউ ঈর্ষা করবেন। ১৪১ ম্যাচে ৯৯০৮ রান। আর ৯২ রান করলে অভিজাত দশ হাজারি ক্লাবে নাম লেখাবেন। কেরিয়ারে অনেক মণিমুক্তো। ২৯ সেঞ্চুরি। ৪৫ হাফসেঞ্চুরি। দেবাঙ্গ গাঁধীর পর ট্রিপল সেঞ্চুরি করা বাংলার একমাত্র ক্রিকেটার। তবে ট্রফি ক্যাবিনেটে নেই রঞ্জি ট্রফি। চারবার ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছে। কাপ আর ঠোঁটের মাঝের দূরত্বের মতোই ব্যবধান থেকেছে রঞ্জি ট্রফির সঙ্গে। অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে আর এক মরশুম খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর হাতেই নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব সঁপে দিয়েছে বাংলা। রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার (Ranji Trophy) অভিযান শুরু ৫ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। যে ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনমে উড়ে যাচ্ছে বাংলা দল। তার আগে কলকাতায় বাংলা দলের প্র্যাক্টিসের ফাঁকে এবিপি আনন্দকে দীর্ঘ, একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)।
প্রশ্ন: আগেই ঘোষণা করেছেন, এবারের রঞ্জি ট্রফি খেলেই পাকাপাকিভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। টুর্নামেন্টে নামার আগে নিজের জন্য কী লক্ষ্য সাজাচ্ছেন?
মনোজ তিওয়ারি: আমার একার নয়, বরং গোটা বাংলা দলের একমাত্র লক্ষ্য হল রঞ্জি ট্রফি জেতা। অন্য কোনও লক্ষ্য নেই। আমি যে আরও একটা বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা রঞ্জি জয়ের স্বপ্নপূরণের জন্যই। তার জন্য যা যা করা দরকার, করা হচ্ছে। কয়েকজন নতুন বোলার উঠে আসছে। বোলিংয়ে বৈচিত্র বেড়েছে। দলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ যোগ হয়েছে। আমি সব সময় মনে করি বোলারদেরও ব্যাট হাতে দক্ষতা থাকা জরুরি। সেটা এবারের দলে রয়েছে। ভাল দল পেয়েছি। সব ক্রিকেটারেরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্রিকেটারের বয়স ২৫-২৬। তাতে দলের ফিল্ডিং ভাল হবে। ট্রফি জয়ের পথে এগুলো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচের জন্য ৬ জন নতুন মুখ এসেছে দলে। বাংলা ক্রিকেটে একটা সন্ধিক্ষণ চলছে। অধিনায়ক হিসাবে এই পরিস্থিতিটা সামলাচ্ছেন কীভাবে?
মনোজ: ১৯ বছর বয়স থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছি। যখন প্রথম বাংলার অধিনায়ক হয়েছিলাম, তখন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার দলে ছিল। তারপর একটা সময় অভিমন্যু ঈশ্বরণ, অভিষেক রামনের মতো এক ঝাঁক নতুন ছেলে সুযোগ পায়। এখন তারা অনেক পরিণত। সব মিলিয়ে ভাল লাগে। নতুন ছেলেদের শেখার ইচ্ছে রয়েছে। রঞ্জি ট্রফিতে হয়তো এবার অনেক নতুন মুখ। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছে সকলেই। কেউ অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে, কেউ অনূর্ধ্ব ২৫ দলে খেলেছে। আশা করছি সিনিয়র পর্যায়ে সেটা করে দেখাবে ওরা। তাদের রাস্তা দেখানোর দায়িত্ব কোচ-অধিনায়কের। তবে বেশি কচকচানি নয়, মাঝে-মধ্যে পরামর্শ দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: রঞ্জি ট্রফিতে বারবার নক আউট পর্বে হারছে বাংলা। গতবার ফাইনালে পরাজয় হজম করতে হয়েছিল। এবারের রঞ্জি শুরু আগে সতীর্থদের উদ্দেশে কী বললেন?
মনোজ: প্রথম ম্যাচের আগে কলকাতায় শেষ প্র্যাক্টিস সেশনে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছি। টিম মিটিংয়ে বলেছি, কাকে কেন দলে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভূমিকা পরিষ্কার করে দেওয়াটা জরুরি। মুকেশ কুমার, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা প্রথম দুই ম্যাচে নেই। শাহবাজ আমেদও নেই। নতুন ছেলেদের বলেছি, এমন পারফর্ম করো যাতে যখন ওরা ফিরে আসবে, কাকে বাদ দিয়ে খেলাব ভাবতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। যখন একটা দল ভাল করে, মাঠের বাইরেও অনেক কিছু ভাল হতে হয়। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ, মাঠের বাইরের আবহ। কোচ ও ক্রিকেটারদের সম্পর্কে কোনও ফাঁক রাখলে চলবে না। অনেক সময় শোনা যায় ক্রিকেটারদের যোগাযোগের অভাবে সমস্যা হচ্ছে। সেটা হতে দিলে চলবে না। পাশাপাশি সকলকে বলেছি ইতিহাস মাথায় রাখতে। সিনিয়র ক্রিকেটারেরা কে কখন কী করেছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটারেরা অনেক চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এখানে এসেছে। নতুন ক্রিকেটারদের বন্ধু হিসাবে থাকতে চাই। বড় দাদা হিসাবে থাকতে চাই। আবার দরকারে শাসনও করতে হবে।
প্রশ্ন: প্রথমেই দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচ, এটা কি সুবিধা দেবে নাকি পরীক্ষা আরও কঠিন করে তুলবে?
মনোজ: ম্যাচের আগে সুবিধা বা অসুবিধা নিয়ে কখনওই ভাবিনি। দলের মধ্যেও এসব নিয়ে আলোচনা চাই না। নিজেদের প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছি। এবারের দল নির্বাচনী বৈঠকে আমি নিজে ছিলাম। সব রকম পরিস্থিতির জন্য ক্রিকেটার রয়েছে। চারজন স্পিনার আছে। পাঁচজন পেসার রয়েছে। ব্যাটাররা রয়েছে। খেলা বাইরে হোক বা ঘরে, প্রস্তুতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ, ঘরের মাঠে খেলা হলে হোমটিম পরিবেশটা একটু ভাল বোঝে। যদিও এখন সবাই সর্বত্র খেলছে। প্রত্যেক দলে ভিডিও অ্যানালিস্ট রয়েছে। কোনও দলের বোলাররা কীরকম বল করে, ব্যাটাররা কীরকম শট খেলে, সবাই সবটা জানতে পারে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।
প্রশ্ন: ৫ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই ম্যাচের জন্য ভিডিও দেখিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে?
মনোজ: আমাদের দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রত্যেক ক্রিকেটারের খেলার ভিডিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোলারদের বলা হয়েছে ওদের ব্যাটারদের খেলার ধরন দেখে নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে। ব্যাটারদেরও বলা হয়েছে ওদের বোলিং শক্তি বুঝে প্রস্তুতি নিতে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের নিজের পরিকল্পনা তৈরি করাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: কেরিয়ারে চারবার রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে চারবারই পরাজিত হতে হয়েছে। কোন হার সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক?
মনোজ: চারটে হারই যন্ত্রণা দেয়। পরাজয় সব সময়ই বেদনাদায়ক।
প্রশ্ন: গতবার ঘরের মাঠে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালে হার কি নতুন অভিযান শুরু হওয়ার মুখেও বিঁধছে?
মনোজ: গতবারের হার নিয়ে ভাবছি না। কারণ সবাই বর্তমানে বাঁচতে পছন্দ করে। তবে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হলে ফাইনালে হারের প্রসঙ্গ ওঠে। তখন আক্ষেপ হয়। প্রথম দুবার ফাইনালে হারের পর মন খারাপ হলেও তবু আবেগ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে শেষ দুবার হেরে কেঁদে ফেলেছিলাম। জয়ের এত কাছে এসে হার ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক। বিশেষ করে গোটা টুর্নামেন্টে এত ভাল খেলে ফাইনালে এসে স্বপ্নভঙ্গ হওয়াটা বিরাট ধাক্কা।
প্রশ্ন: চাপের মুখে এখনও সেই অনুষ্টুপ মজুমদার বা মনোজ তিওয়ারিরাই পারফর্ম করেন। নতুন ছেলেদের কী বলছেন?
মনোজ: নতুনদের বলছি, চাপের মুখে খেললে তবেই পরিচিতি তৈরি হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, চাপ কি শুধু ফাইনালে থাকে? আমি অন্তত তা মনে করি না। প্রত্যেক ম্যাচে চাপ থাকে। আমার মনে হয়, চাপের মুখে ছেলেরা ভালই খেলছে। ফাইনালে হচ্ছে না। তার অবশ্য অনেক কারণ থাকতে পারে। গত মরশুমের ফাইনালে আমরা টস জিতলে ম্যাচের ফল অন্য হতো। সৌরাষ্ট্র প্রথমে ব্যাট করলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হতাম। প্রথম দিন ভেজা উইকেটে আমাদের ব্যাট করতে হয়েছিল। আমরা শুরুতে বোলিং করলে মুকেশ, আকাশ ও ঈশান পোড়েলকে খেলা সহজ হতো না।
প্রশ্ন: বাংলা ক্রিকেটের গত ১৫ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, মনোজ তিওয়ারি, অশোক ডিন্ডা, লক্ষ্মীরতন শুক্লদের মতো হাতে গোনা কয়েকজন বড় ম্যাচে নামী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই সেরা ক্রিকেটটা খেলছে। মুম্বই, কর্নাটক, তামিলনাড়ুর মতো দলের বিরুদ্ধে। নতুনরা সেটা পারছে না কেন?
মনোজ: মাঠে নেমে পারফর্ম ক্রিকেটারদের নিজেদেরই করতে হবে। আমরা পরামর্শ দিতে পারি শুধু। নিজেদের খেলাটা নিজেদেরই খেলতে হবে। মুম্বই বা কোনও বড় দলের বোলারদের খেলার সময় ব্যাটারকে নিজেকেই ভেবে বার করতে হবে কীভাবে সামলাবে। নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিলে হবে না। আমরা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দলে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছি। তবে বাংলা ১৯৮৯-৯০ সালে শেষবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আর তো ট্রফি জেতেনি। তাই শুধু এখনকার নতুন ছেলেদের দোষ দেওয়া অনুচিত। আমাদের পদ্ধতিটা ঠিক রাখতে হবে।
প্রশ্ন: দিনের পর দিন পারফর্ম করেও এক সময় জাতীয় দলে ব্রাত্য থেকেছেন। রঞ্জি ট্রফি জিতে অবসর নিতে পারলে কি সেই আক্ষেপ মিটবে?
মনোজ: না, রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হলেও সেই আফশোস যাবে না। তবে রঞ্জি জিতলে সেই কৃতিত্বও কম হবে না। এত ভাল দল নিয়েও, এত প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা খারাপ তো লাগেই। তবে জাতীয় দলে প্রাপ্য সুযোগ না পাওয়ার যন্ত্রণা কিছুতেই কমবে না।
প্রশ্ন: ব্যাটার হিসাবে মনোজ তিওয়ারি নিজের সামনে কী লক্ষ্য সাজাচ্ছে?
মনোজ: আমি প্রত্যেকবারই রঞ্জি ট্রফিতে নামি এক হাজার রান করার লক্ষ্য নিয়ে। সেটা যদি পারি, অন্য আর একজন যদি হাজার করে, আরও দু-একজন মরশুমে সাত-আটশো রান করে, তাহলে কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আমাদের হাতে ভাল বোলিং রয়েছে। ম্যাচ বেরিয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বাংলা থেকে গত কয়েক মরশুমে এক ঝাঁক পেসার নজর কেড়ে নিয়েছেন। বাংলার পেস বোলিং আক্রমণ এখন দেশের অন্যতম সেরা। অধিনায়ক হিসাবে কতটা ভরসা দেয় এই পেস ব্যাটারি?
মনোজ: ভাল তো লাগেই। গতবার আমরা সব পেসারদের দিয়ে টানা অফস্টাম্প লাইনে বোলিং প্র্যাক্টিস করিয়েছিলাম। বলা হয়েছিল, উইকেট আসুক বা না আসুক, এই লাইনেই বল করে যেতে হবে। তার সুফলও পেয়েছিলাম। সেই শৃঙ্খলাটা এবারও মেনে চলতে হবে। প্রতিভার প্রমাণ মাঠে নেমে দিতে হবে। অধিনায়ক হিসাবেও সেটা তৃপ্তি দেয়। মুকেশ ভারতীয় দলে খেলছে। আকাশ ডাক পাচ্ছে। এটা ভাল লক্ষ্মণ। ইতিবাচক দিক। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, শাহবাজ আমেদরাও সিনিয়র ভারতীয় দলে বা এ দলে খেলছে। তবে এরপর প্রশ্ন উঠতে পারে, এরা তো বাইরে থেকে এসে বাংলার হয়ে খেলছে। বাঙালিরা কোথায়? এটা নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, এটা বাংলা দল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারি, ঋদ্ধিমান সাহারা তো খেলেছে। বাঙালি ঘরের ছেলেরাও যাতে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো খেলে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
প্রশ্ন: ভারতীয় দলে রাহুল দ্রাবিড় প্রত্যেক ম্যাচের শেষে সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করা প্রচলন করেছেন। বাংলা দলেও কি সেরকম কিছু দেখা যাবে?
মনোজ: আমরা গত মরশুমে সব মাঠে বাংলার ফ্ল্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলাম। ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকের বসার জায়গার ওপরে রঞ্জি ট্রফির ছবি লাগিয়ে রাখা হচ্ছিল। ভারতীয় দলের রীতি আমরাও চালু করতে পারি। আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিই, খাওয়াদাওয়া করি। আবার বলতে চাই, গতবার টস না হারলে ফিল্ডিং বা ব্যাটিং-বোলিংয়ের সেরা ক্রিকেটারকে পুরস্কৃত না করেই চ্যাম্পিয়ন হতাম।
আরও পড়ুন: নতুন চাকরি পেলেন সানা, জানালেন গর্বিত বাবা সৌরভ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে