![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
মন্তব্যে দুঃখ পেয়ে বাবা পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে মিঁয়াদাদের সঙ্গে দেখা করতে চান! ২০০৩-০৪ এর পাকিস্তান সফরের অজানা কাহিনি শোনালেন ইরফান পাঠান
বাবা আমায় বলেছিলেন, আমি পাকিস্তানিদের ড্রেসিংরুমে যেতে চাই, মিঁয়াদাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাঁকে বলি, আমি চাই না, তুমি ওখানে যাও।
![মন্তব্যে দুঃখ পেয়ে বাবা পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে মিঁয়াদাদের সঙ্গে দেখা করতে চান! ২০০৩-০৪ এর পাকিস্তান সফরের অজানা কাহিনি শোনালেন ইরফান পাঠান My father didnt like Miandads comment, wanted to meet him in Pakistan dressing room, says Irfan Pathan on 2003-04 tour মন্তব্যে দুঃখ পেয়ে বাবা পাকিস্তানি ড্রেসিংরুমে মিঁয়াদাদের সঙ্গে দেখা করতে চান! ২০০৩-০৪ এর পাকিস্তান সফরের অজানা কাহিনি শোনালেন ইরফান পাঠান](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2017/08/08135630/irfan-pathan-647_080817122434.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: ২০০৩-০৪ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের অজানা কাহিনি শোনালেন ইরফান পাঠান। সেসময় প্রাক্তন নামজাদা ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ ছিলেন পাকিস্তানের কোচ। মিয়াদাঁদের তাঁর সম্পর্কে করা একটি মন্তব্য শুনে তাঁর বাবার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, জানিয়েছেন ভারতীয় টিমের এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার। একটি খেলার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ইরফান বলেছেন, আমার মনে আছে, ‘পাঠানের মতো বোলার পাকিস্তানের অলিতে গলিতে আছে’, এই জাতীয় কথা বলেছিলেন মিঁয়াদাদ। কথাটা শুনে বাবার খুব খারাপ লেগেছিল। শেষ ম্যাচের সময় বাবা পাকিস্তানে ছিলেন। বাবা আমায় বলেছিলেন, আমি পাকিস্তানিদের ড্রেসিংরুমে যেতে চাই, মিঁয়াদাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাঁকে বলি, আমি চাই না, তুমি ওখানে যাও। যা-ই হোক, বাবাকে দেখে মিঁয়াদাদ উঠে দাঁড়িয়ে বলে ওঠেন, না, আপনার ছেলে সম্পর্কে কিছু বলিনি। বাবার মুখে কৌতুক খেলে গেল, তিনি বলেন, আপনাকে কিছু বলতে আসিনি। আপনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, তাই দেখতে এলাম।
কারগিল যুদ্ধের পর বন্ধ থাকা ক্রিকেটের দরজা সেবছর খুলে গিয়েছিল। সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল টেস্ট সিরিজ ২-১ ও একদিনের সিরিজ ৩-২ ফলে জেতে।
তবে প্রথম পাকিস্তান সফর নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইরফান। জানিয়েছেন, ওদের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ। বলেছেন, খাওয়া-দাওয়া, ক্রিকেট, ড্রেসিংরুমের গল্প, সচিন পাজির সিরিজ জয়ের পর আমায় গান করতে বলা, ছোট ছোট নানা ঘটনা, গোটা দল একটা পরিবার হয়ে ওঠা- সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। শো-তে আরেক প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আশিস নেহরা বিশেষ করে বলেন লক্ষ্মীপতি বালাজির কথা। নেহরা বলেন, ওই ৬টা সপ্তাহ দারুণ অভিজ্ঞতা। বীরেন্দ্র সহবাগের ট্রিপল সেঞ্চুরি, রাহুল দ্রাবিড়ের দ্বিশতরান, ইরফান পাঠানের পারফরম্যান্স, সব দেখেছি, কিন্তু আমার মনে মাঠের বাইরের পাকিস্তান দেশটা সব মিলিয়ে,ড্রেসিং রুমে বালাজি-আলাদা করে দাগ কেটেছে। আমার আজও মনে পড়ে জাভেদ মিঁয়াদাদ আমাদের সবাইকে নিজের বাড়িতে নেমন্তন্ন করে দারুণ খাইয়েছিলেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)